সৌদি বাদশাহর অপসারণ দাবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাদশাহর বিরুদ্ধে খোদ নিজ পরিবার থেকেই দিনে দিনে ক্ষোভ বাড়ছে সৌদি রাজপরিবারে। রাজ পরিবারের অন্তত ১২ সদস্য বর্তমান বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজের (৭৯) অপসারণ চেয়েছেন। একইসঙ্গে বাদশার ৭৩ বয়সী ছোটভাই আহমেদ বিন আব্দুল আজিজকে তারা সৌদি বাদশাহর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে দেখতে চান।
ভিন্ন মতাবলম্বী এক সৌদি প্রিন্সের বরাত দিয়ে শনিবার যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সৌদি প্রিন্স জানান, দেশের বিশিষ্ট আলেমদের সমন্বয়ে গঠিত উলেমা পরিষদের বেশিরভাগ সদস্যই বর্তমান বাদশাহ সালমানের অপসারণ চান। তারা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাদশাহকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ বিন আব্দুল আজিজকে ক্ষমতায় বসাতে চান।
নিজেকে বাদশাহ ইবনে সৌদের নাতি দাবি করে এই সৌদি প্রিন্স আরো বলেন, আহমেদকে ক্ষমতায় বসাতে উলেমা সম্প্রদায় ও দেশটির ধর্মপ্রাণ মানুষের অন্তত ৭৫ শতাংশের সমর্থন রয়েছে। সৌদি রাজতন্ত্রের পরিবর্তনে উলেমা পরিষদের সমর্থন গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে। কেননা দেশটির রাজনৈতিকসহ যেকোনো ধরনের পরিবর্তনের জন্য ওই পরিষদের সমর্থন লাগে।
সৌদি বাদশাহ সালমান দেশটির ক্ষমতায় আসার পর থেকে খোদ তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সময় তার পদত্যাগ চেয়েছেন। তবে কখনো প্রকাশ্যে তারা এ দাবি জানাতে পারেননি। নিরাপত্তা নিয়ে হুমকির কারণে এবার সৌদি আরবের এ প্রিন্স তার নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তবে সম্প্রতি তিনি বর্তমান বাদশাহর বিকল্প হিসেবে নতুন কাউকে স্থলাভিষিক্ত চেয়ে দুটি চিঠি লিখেছেন।
বাদশাহ সালমান বর্তমানে স্মৃতি নষ্টকারী অ্যালজাইমার রোগে আক্রান্ত। তার সৎ ভাই বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের মৃত্যুর পর চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তিনি ক্ষমতায় আসেন।
সৌদি প্রিন্স আরো বলেন, বর্তমান বাদশাহ সৌদি আরব ত্যাগ করলে দেশের ভেতরে এবং বাইরে সবার কাছে তিনি সম্মান পাবেন। নতুবা প্রিন্স আহমেদকে যুবরাজ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে। আর আহমেদকে নিয়োগ দেয়া হলে তিনি সৌদি আরবের অর্থনীতি, তেল সম্পদ, সশস্ত্র বাহিনী, ন্যাশনাল গার্ডসহ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করবেন।
এর আগে ১৯৬৪ সালেও সৌদি রাজপরিবারে বাদশাহর অপসারণের দাবিতে এরকম গুঞ্জন শুরু হয়। পরিণতিতে সেইসময় বাদশাহকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়। সৌদি প্রিন্স ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, এবারও একইরকম ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে ।
২৫ অক্টোবর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস
�