আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের লোধা স্মৃতি ভবনে রাজ্য কার্যকরী বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি কর্মীদের তৃণমূল কংগ্রেস ভয় দেখাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তিন বছর ধরে যাওয়ার সময় পাননি। এখন দৌড়াদৌড়ি করছেন মোদির কাছে। দিদির এখন খারাপ সময় চলছে। নরেন্দ্র মোদিই বাঁচাতে পারেন। সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এখান-ওখান থেকে মালকড়ি আসা বন্ধ হয়ে গেছে। তাই দিল্লি গিয়ে দাদার পা ধরতে হচ্ছে। বাংলার চিন্তা ওনার নেই। নিজের আর ভাইদের চিন্তায় মোদির পা ধরতে গিয়েছেন দিদি।
তিনি বলেন, “তৃণমূলের ভয়ে অনেকে সভায় আসছে না। কিন্তু, যারা ভয় দেখাচ্ছে, তাদের নেতারা দু’দিন পর জেলে ঢুকবে। তখন তারা অনাথ হয়ে যাবে। তাদের খোঁজ নেওয়ার লোক থাকবে না। বিজেপির পতাকা হাতে তুলতে বাধ্য হবে। আর তৃণমূল বিভিন্ন দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভাঙিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু, নেতাদের যারা জিতিয়েছে তারা আমাদের পার্টিতে রয়ে গেছে। তারা আবার জেতাবে।”
অবৈধভাবে গবাদি পশু হত্যা ও বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার। এ বিষয়ে দিলীপ বলেন, “অবৈধভাবে গবাদি পশু বিক্রি ও হত্যা হচ্ছে। যা দেশের সংস্কৃতি ও পরম্পরার বিরোধী। হাজার হাজার গোরু বাংলাদেশ চলে যাচ্ছে। আমার দেশ কৃষিপ্রধান। কৃষির জন্য গোরু প্রয়োজন। স্বাস্থ্যের জন্য, অর্থনীতির জন্য গোরু প্রয়োজন। সাধারণ মানুষ গোরুকে সেবা করেন। এই সব কথা মাথায় রেখে সরকার আইন নিয়ে আসছে। এটা ভালো সিদ্ধান্ত।”
সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “পশ্চিমবাংলায় একটাই ইন্ডাস্ট্রি আছে। তা হল বোমা-বন্দুকের কারখানা। যেখানে বোমা বিস্ফোরণে তৃণমূলের কার্যালয় উড়ে যায় তাদের আর কী বলার আছে। সবথেকে বেশি গুপ্তচর পশ্চিমবাংলায় ধরা পড়ছে। আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। সমাজবিরোধীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সরকার যদি চায় তাহলে এগুলোর সমাধান করুক। নাহলে সাধারণ মানুষ ব্যবস্থা নেবে।”
এদিকে, গতকাল দাঁতনের মোহনপুর ও আজ খড়গপুরের শালুয়াতে দুটি পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করে বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ। দুটি সভাতেই তৃণমূল ও সিপিএম ছেড়ে শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন।
২৮ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস