সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫, ০১:১৫:৪০

পরীক্ষায় নকল করলে ৭ বছরের কারাদণ্ড!

পরীক্ষায় নকল করলে ৭ বছরের কারাদণ্ড!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পরীক্ষায় টুকতে গিয়ে ধরা পড়লে ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। ছাত্রদের টোকার অভ্যাস রুখতে এমনই কঠোর আইন আনতে চলেছে চীন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে নয়া আইন চালু করতে চলেছে চীন। এই আইন মোতাবেক, পরীক্ষার হলে টুকতে গিয়ে ধরা পড়লে সাত বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে। শুধু তাই নয়, আইনত কঠিন শাস্তি পেতে পারেন দোষী ছাত্রের বাবা-মায়েরাও। এছাড়া, অন্যের নাম ভাঁড়িয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজিরার জন্য গ্রেপ্তারের নির্দেশ থাকছে নতুন আইনে। সম্প্রতি চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল-এ প্রচারিত খবরে জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় টোকাটুকিতে জড়িত সবাইকে তিন থেকে সাত বছরের শাস্তির বিধান চালু করতে চলেছে সরকার। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে চীনের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে টুকতে গিয়ে ধরা পড়ার ঘটনা বেড়েছে। গত জুলাই মাসে জাতীয় কলেজ প্রবেশিকা পরীক্ষায় টোকাটুকি কেন্দ্রিক নয়টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এযাবত্‍ পরীক্ষায় টুকতে গিয়ে ধরা পড়লে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বোর্ডের আঁওতাভুক্ত করাই রীতি। শাস্তি হিসাবে দোষী ছাত্রকে বহিষ্কার, পরীক্ষা দিতে না দেওয়া, ডিগ্রি বাতিল অথবা স্রেফ কর্তৃপক্ষের তরফে হুঁশিয়ারির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। প্রতি বছর চীনে জাতীয় স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা 'গাওকাও'-তে গণ টোকাটুকি রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা নেয় পুলিশ। ২০১৪ সালে পরীক্ষায় বসেছিলেন ১ কোটি পড়ুয়া। পরীক্ষা কেন্দ্রে নজরদারির জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়। তাতে পরীক্ষায় টোকার সুবিধায় অত্যাধুনিক টেলিকম যন্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার প্রকাশ্যে আসে। এর পরই নড়েচড়ে বসে চীনের শিক্ষা দপ্তর। নতুন আইন এনে অবাধ টোকাটুকি বন্ধ করার প্রয়াস তারই ফল। ২৬ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে