নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের সীমানা প্রায় পেরিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে ভারতের মণিপুরের পথে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোরা। মোরা’র তাণ্ডবে কক্সবাজারে গাছচাপা পড়ে ও আতঙ্কে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ভোলার মনপুরার কলাতলির চরে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে পানিতে পরে মারা গেছে রাশেদ নামে আরেক শিশু।
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসে অনেক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি। ঝড়ে কয়েকশ’ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
তবে প্রচুর বৃষ্টিপাতে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে।
কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিনসহ আশেপাশের এলাকায় প্রবলবেগে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে এলাকাগুলোতে ৩ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) সোমবার কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।
সিএএবি কর্মকর্তারা জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে এবং চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সোমবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস