আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হাসপাতাল থেকে ২০১৫ সালে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন বছর পঁয়তাল্লিশের হেনরি বেলো। ঠিক দু'বছর পরে সেই হাসপাতালে ঢুকে নারকীয় তাণ্ডব চালালেন ওই চিকিত্সক। খবর এবিপির।
আমেরিকায় নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কস লেবানন হাসপাতালের ঘটনা। শুক্রবার হাসপাতালে ঢুকে পড়েন বেলো। নিজের কোটের নীচে লুকিয়ে এনেছিলেন একটি এআর-১৫ রাইফেল। সোজা উঠে যান ১৭ তলায়।
প্রথমে সেখানে, তারপর ১৮ তলায় উঠে সেখানেও এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক মহিলা চিকিত্সকের। গুরুতর জখম হয়েছেন বেশ কয়েক জন। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, অনেকেরই মাথায়, পেটে এবং বুকে গুলি লেগেছে। এমন বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গুলির আওয়াজ শুনেই রোগী থেকে শুরু করে হাসপাতাল কর্মীরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন। এক বন্দুকবাজ হাসপাতালে ঢুকে পড়েছে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল কর্মীরা রোগী ও নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেশ কিছু ক্ষণ গুলি চালানোর পর হামলাকারী নিজেকেও গুলি করেন, তার পর গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হন।
খবর পেয়েই পুলিশ আসে। কী ধরণের হামলা বুঝতে না পেরে গোটা হালপাতালেই তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালানো হয়। পরে পুলিশ নিশ্চিত হয়, একাই হামলা চালিয়েছিলেন ওই চিকিত্সক। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ২০০৪-এ এক মহিলা বেলোর বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ আনেন। ২০০৯-এ সেই একই অভিযোগ আনেন আরও দুই মহিলা। তারপর বেলোকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। ব্যক্তিগত হতাশা আর আক্রোশ থেকেই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
বেলোর সাবেক সহকর্মীরা তাকে বরাবরই 'প্রবলেমেটিক' বলে বর্ণনা করেছেন। ব্রঙ্কস লেবানন হাসপাতালে বেলোর সঙ্গেই প্রশিক্ষণ নেওয়া চিকিত্সক ডেভিড লাজালা জানান, বেলো খুব বদমেজাজি ছিলেন। চিত্কার করে কথা বলতেন। লোকজনকে হুমকিও দিতেন।
জুলাই, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস