বুধবার, ০৫ জুলাই, ২০১৭, ০২:০১:৩৯

‘যুদ্ধ লাগলে ভারত টিকবে না’, হুঁশিয়ারি চিনা আর্মির

‘যুদ্ধ লাগলে ভারত টিকবে না’, হুঁশিয়ারি চিনা আর্মির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:   সিকিম সীমান্তে চলতে থাকা টানাপোড়েনের মধ্যেই ফের হুঁশিয়ারি চিনের তরফে। ‘যুদ্ধ লাগলে ভারত মোটেই টিকতে পারবে না’, পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)-র ওয়েবসাইটে হুঁশিয়ারি দিয়ে একথা উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এক প্রকাশ করা প্রচ্ছদে এই মন্তব্য করা হয়েছে। যুদ্ধ কৌশল বিশ্লেষক ওয়াং দেহুয়ার লেখা ওই প্রচ্ছদে ১৯৬৭ সালের ভারত-চিন সংঘাতের স্মৃতিও উস্কে দেওয়া হয়। ওয়াং লিখেছেন, ‘আমরা এর আগে ভারতীয় সেনার দু’বার বিধ্বংসী হামলা চালিয়েছি।’

প্রসঙ্গত, এর আগে চিনের এমনই হুমকির জবাবে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছিলেন, ‘চিনের মনে রাখা উচিত এটা ২০১৭। ১৯৬২-র ভারত নয়।’ পালটা জবাবে চিনা বিদেশ মন্ত্রকও জানিয়ে দেয়, ‘চিনও কিন্তু ৫৫ বছরে অনেক এগিয়েছে।’

আজ চিনা আর্মির ওয়েবসাইটে ওয়াং দেহুয়া লিখেছেন, ‘এর আগে ভারত কখনও আমাদের বিরুদ্ধে সফল হয়নি। এবারও তারা পারবে না। বিগত দশকগুলিতে চিনা আর্মি অসাধারণ উন্নতি করেছে এবং আধুনিক হয়েছে।’

১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরে ও অক্টোবরে নাথু লা’তে চিনা হামলার কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, ‘আত্মরক্ষার্থে ভারতের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী হামলা চালিয়েছিল চিন।’ প্রসঙ্গত, যদিও অধিকাংশ মহলেই এটা বিশ্বাস করা হয়, ১৯৬৭-র যুদ্ধে চিনা আর্মিকে কার্যত নাকানিচোবানি খাইয়েছিল ভারতীয় সেনা।

নাথু লা’তে চিনা আর্মি পোস্ট ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনা। ৩০০-৪০০ জন চিনা আর্মি জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। অপরদিকে ৮০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। সিকিমে সীমান্তে গত মাসের গোড়া থেকেই তুমুল উত্তেজনা শুরু হয়েছে ভারত ও চিনের মধ্যে।

ভারত, ভুটান ও চিনের মধ্যবর্তী সীমান্তে অবস্থিত ডোকা লা এলাকায় ঢুকে পড়ে চিনা আর্মি। এমনকী রাস্তাও তৈরি করতে থাকে। সেই কাজে যৌথভাবে বাধা দেয় দিল্লি ও থিম্পু। এরপর থেকেই উত্তেজনা বাড়ছে। দুই দেশই ওই এলাকায় সেনা উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে।-এই সময়
এমটিনিউজ২৪/এম.জে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে