আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমেরিকার ওহাইও প্রদেশের ফোস্টোরিও শহরের বাসিন্দা এনেডিনা ভান্স। ছ'মাসের মেয়ের ছবি আনন্দ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন এই মা। আর তারপরেই ছি ছি পড়ে যায়। খুনের হুমকিও পেয়েছেন।
পাঁচ সন্তানের মা এনেডিনা তাঁর কনিষ্ঠতম মেয়েটির গালে একটি হিরে বসিয়ে ছবি তোলেন এবং তা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। আর সেই পোস্টকে ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। ১১ হাজার কমেন্ট জমা পড়ে এই ছবির তলায়। আর সেই সব কমেন্টে প্রশ্ন ওঠে কেমন মা এনেডিনা? ছি ছি করেন অনেকেই? নিজের শখ মেটাতে এতটা নির্মম হতে পারেন কোন মা?
ছবি: এনেডিনা ভান্স-এর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
এই বার দেখুন সেই পোস্ট করা ছবিটি। যেখানে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট শিশুটির গাল বেঁধানো হয়েছে। সেখানে পরানো রয়েছে একটুকরো হিরে। কিন্তু অত ছোট মেয়েটি কি কম কষ্ট পেয়েছে মায়ের সখ মেটানোর আদিখ্যেতায়! এমন সব প্রশ্ন তো রয়েছেই কমেন্ট বক্সে কেউ কেউ লিখেছেন, ছ'বছরের মেয়ের কান বিঁধোতে যেখানে ভয় লাগে সেখানে কী করে ফুটফুটে ছোট্ট মেয়েটার গালে ফুটো করে গয়না পরালেন এই মা? এমন মাকে খুন করে ফেলা উচিত্ বলতেই দ্বিধা করেননি অনেকে।
এনেডিনা ছবিটি পোস্ট করার পরে জানিয়েছিলেন, আমার মেয়েকে আমি সাজাতেই পারি। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সেই অধিকার রয়েছে আমার। অনেকেই তো কান বেঁধান, আমরা গাল বিঁধিয়েছি। আপত্তি কোথায়! বড় হওয়ার পরে ও যদি পছন্দ না করে খুলে ফেলবে।
ছবিটি নিয়ে প্রতিবাদ যখন জনে ওঠে, ক্রমশ যখন এই খবর ভাইরাল হয়ে ওঠে তখনই সত্য প্রকাশ করেন এনেডিনা। জানান, গাল বেঁধানো হয়নি। শুধু ছবি তোলার জন্য হিরেটি গালে লাগানো হয়েছিল। আসলে শিশুদের ইচ্ছাকে গুরুত্ব না দিয়ে যে ভাবে অভিভাবকরা ছেদ করেন, তা যে ঠিক নয় সেটা প্রচার করতেই এই উদ্যোগ। এনেডিনার দাবি, একমাত্র চিকিত্সার কারণেই এটা করা উচিত। সখ মেটানোর জন্য কখনওই নয়।
০৯ জুলাই ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এপি/ডিসি