আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি সেনা সদস্যের গুলিতে আল-আকসা মসজিদের ইমাম শেখ ইকরিমা সাবরি গুরুতর আহত হয়েছেন। গত বুধবার এশার নামাজ শেষে মুসল্লিদের মসজিদটির প্রধান গেটের বাইরে সেনারা রাবার বুলেট ছুড়লে এ ঘটনা ঘটে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়, এশার নামাজ শেষ হওয়ামাত্র ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জোরপূর্বক মসজিদ চত্বরটি খালি করার চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে অনেকেই আহত হয় যাদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সেনাদের ছোড়া রাবার বুলেট ছুড়লে মসজিদের ইমাম গুলিবিদ্ধ হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে জেরুজালেমের আল মাকাসিদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ইমাম সাবিবির শারীরিক অবস্থা কী, তা প্রকাশ করেনি ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে তুরস্কের ধর্মমন্ত্রী মেহমেত গর্মেজ এক টুইটার বার্তায় কঠোর ভাষায় এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি ১৯৪৪ সালে হেরবনে অবস্থিত ইবরাবিমি মসজিদে ইহুদিদের হামলায় ৩০ জন ফিলিস্তিনি মুসলিম নিহতের ঘটনাকে উদাহরণ টেনে বলেন, ‘যখন আমাদের ভূমি কমে আসছে এবং আল-আকসা মসজিদ কেন্দ্র করে যে ঘটনাগুলো ঘটছে তা আমাদের খুবই চিন্তিত করে তুলেছে। আমি বিশ্বাস করি, তারা আল-আকসা মসজিদকে আল-খলিল মসজিদের ভাগ্যবরণ করতে দেবে না, কারণ এটা বিবেক, সংযম, শান্তির প্রতীক আব্রাহাম, ইসহাক, জ্যাকব এবং জোসেফের আশ্রয়।’
অন্যদিকে নিরাপত্তার অজুহাত তুলে আল-আকসা মসজিদের প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর বসানোকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে গত শুক্রবার পর্যন্ত ৫ জন নিহতের পর নতুন করে এ ঘটনা পশ্চিম তীরকে আবারও অশান্ত করে তুলেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৫ সালের অক্টোবরের পর ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে ফিলিস্তিনিদের হামলায় নিহত ইহুদিদের সংখ্যা ৫০ জনের মতো।
প্রসঙ্গত, আল আকসা মসজিদ মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিষ্টান এ তিন ধর্মের মানুষের কাছেই পবিত্রস্থান। ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে থাকা এ সমজিদকে ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্রস্থান (মক্কা ও মদিনার পর) হিসেবে গণ্য করা হয়। যাকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের পরিস্থিতি প্রায়ই উতপ্ত থাকে। গত শুক্রবার মসজিদটির প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর বসানোর পর থেকে প্রতিবাদে ফিলিস্তিনি মুসলিমরা মসজিদে প্রবেশ না করে মসজিদ চত্বরের বাইরেই নামাজ আদায় করছেন।
এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস