বুধবার, ০২ আগস্ট, ২০১৭, ০৪:১৯:৫৮

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত সোমবার সকালে একবালপুরের একটি স্কুল চত্বরের মধ্যে উদ্ধার হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার বাসিন্দা হায়দার আলি নামে এক যুবকের দেহ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

মৃত যুবকের পকেটে থাকা মোবাইল এবং আধার কার্ড থেকেই তার পরিচয় জানতে পেরেছিল পুলিশ। তবে এই মৃত্যু খুন না দুর্ঘটনা, সেটাই এখন তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই একবালপুরের বাসিন্দা শাহজাদা খাতুন এবং তার স্বামী মোহাম্মদ শাকিলকে গ্রেফতার করে একবালপুর থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, শাহজাদা নামে ওই তরুণীর সঙ্গে মাস ছ'য়েক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা হায়দারের। কলকাতার বড়বাজারে হায়দারের কাগজের কার্টুনের ব্যবসা ছিল। ফেসবুকে শাহজাদার সঙ্গে মোবাইল নম্বর আদানপ্রদান করে হায়দার। দু'জনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যা পরিণত হয় প্রেমে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শাহজাদা যে বিবাহিত, তা জানতেন হায়দার।

আরও জানা গিয়েছে, একবালপুর এলাকায় এসে শাহজাদার সঙ্গে দেখাও করে যান হায়দার। একবালপুরের যে স্কুল চত্বর থেকে হায়দারের দেহ উদ্ধার হয়, তার লাগোয়া একটি আবাসনের চারতলায় থাকতেন শাহজাদা এবং তার স্বামী। পুলিশ জানতে পেরেছে, স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে নিজের ফ্ল্যাটেই হায়দারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতেন শাহজাদা। দু'জনে নিয়মিত ... লিপ্ত হতেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান শাহজাদার স্বামী শাকিল। রাতে বাড়ি ফিরবেন না বলেই তিনি শাহজাদাকে জানিয়েছিলেন। তদন্তকারীদের অনুমান, শাহজাদার সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্কের আঁচ পেয়েছিলেন শাকিলও।

রোববার রাতে শাকিল বেরিয়ে যাওয়ার পরেই হায়দারকে ডেকে পাঠান শাহজাদা। রাতেই একবালপুরের ফ্ল্যাটে চলে আসে হায়দার। কিন্তু হঠাত্‍ই ফিরে আসে শাকিল। তখনই নিজের স্ত্রীর সঙ্গে হায়দারকে অস্বস্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে পালানোর চেষ্টা করেন হায়দার।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের অনুমান, খিদিরপুর মুসলিম হাইস্কুলের ভিতর দিয়ে শাহজাদাদের ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন হায়দার। ওই স্কুলের ছাদ টপকে সহজেই শাহজাদাদের আবাসনের ছাদে যাওয়া যায়। সোমবার সকালে ওই স্কুলের ভিতরে ফাঁকা জায়গাতেই হায়দারের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

ঘটনার দিন রাতে ছাদ টপকে দ্রুত পালাতে গিয়েই হায়দার কোনওভাবে নীচে পড়ে গিয়েছিল, নাকি শাহজাদার স্বামী শাকিল তাকে ধাক্কা মেরে নীচে ফেলে দিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেদিন রাতে কী ঘটেছিল, তা সঠিকভাবে জানতে শাহজাদা এবং তার স্বামীকে জেরা করছে পুলিশ।
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে