আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া একটি আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র এয়ার ফ্রান্সের একটি যাত্রীবাহী প্লেনের খুব কাছে চলে এসেছিল! যে কোনও মুহূর্তে মিসাইলটির ধাক্কায় ৩০০ বেশি যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ত। এমনটাই চাঞ্চল্যকর কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এয়ার ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ জানান, ২৮ জুলাই ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি যেখানে পড়েছে মাত্র ১০ মিনিট আগে ৩৩০ জনের বেশি আরোহী নিয়ে এয়ার ফ্রান্সের ফ্লাইটটি ওই এলাকা অতিক্রম করে। এই ঘটনার পর প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে উত্তর কোরিয়ার চারপাশে ‘নো-ফ্লাইং জোন’ এর সীমানা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তারা।
অন্যদিকে, পেন্টাগনের পক্ষ থেকেও ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যস্ত আকাশ পথের ভেতর দিয়ে গেছে বলে জানানো হয়। এই বিষয়ে আমেরিকার পক্ষ থেকে বার বার সতর্ক করা হয়েছে। জাপান ও মার্কিন কর্মকর্তাদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ক্ষেপণাস্ত্রটি টোকিও থেকে প্যারিসগামী উড়োজাহাজটির ১০০ থেকে ১৫০ মিটারের মধ্যে চলে এসেছিল।
পেন্টাগন মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস বলেন, “ওটা বাণিজ্যিক বিমান পরিবহনের ব্যস্ত পথের ভেতর দিয়ে গেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি যেখানে পড়েছে সেটা জাপানের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা। ওই এলাকায় বাণিজ্যিক ও মাছ ধরার নৌযানগুলো চলাচল করে।”
২০১৪ সালের জুলাইয়ে আমস্টার্ডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ১৭ ফ্লাইট ইউক্রেইনের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ভেঙে পড়ে। এবং ২৮৩ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়। অভিযোগ আছে, পূর্ব ইউক্রেইন থেকে ছোড়া রাশিয়ার তৈরি একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সেটি বিধ্বস্ত হয়। কলকাতা ২৪।
এমটিনিউজ/এসএস