গরুর হৃদযন্ত্রে প্রাণ বাঁচল মানব শিশুর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাক্তন ভূগোল শিক্ষিকা এলেনের ছোট ছেলে নোয়া বিরল জিনঘটিত রোগে আক্রান্ত। তার জীবনে যে খারাপ কিছু একটা ঘটতে চলেছে তা আর বুঝতে বাকি রইলোনা মা এলেন প্রিটচার্ডের। এ কথা বুঝতে পেরেই তাকে ভর্তি করা হয় লিভারপুলের অ্যাল্ডার হে হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা চালাতে থাকে একের পর এক চেষ্টা। শিশুটিকে বাঁচিয়ে তোলার প্রায় সকল আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তারপরও যেন মন মানতে চাইছেনা। কিন্তু হার মানতে নারাজ লিভারপুলের অ্যাল্ডার হে হাসপাতালের এক দল চিকিৎসক। গরুর হৃদযন্ত্রের অংশ শিশুটির হৃদযন্ত্রের সঙ্গে জোড়া লাগিয়ে চিকিৎসকেরা বাঁচিয়ে তোলেন আট মাসের নোয়াকে। আপাতত ওই হাসপাতালেই ভর্তি সে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আট মাসের নোয়া বিরল জিনঘটিত সমস্যা ‘হোল্ট ওরাম সিনড্রম’-এ আক্রান্ত। লাখে এক জনের হয় বিরল এই হৃদযন্ত্রের সমস্যাটি। এই রোগে আক্রান্তদের হাতের হাড়ের গঠন অস্বাভাবিক হয়। সেই সঙ্গে হৃদযন্ত্রেরও সমস্যাও দেখা যায়। শেষ চেষ্টা হিসেবে নতুন একটি উপায়ের কথা মাথায় আসে লিভারপুলের ওই হাসপাতালের শল্য চিকিৎসকদের। গরুর হৃদযন্ত্রাংশের সঙ্গে শিশুটির হৃদযন্ত্রের প্রতিস্থাপন করেন চিকিৎসকেরা।
শল্য চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মানুষের হৃদযন্ত্রের সঙ্গে গরুর হৃদযন্ত্রের অনেকাংশে মিল থাকায় অপারেশনটি করতে সুবিধা হয় তাদের। তবে হাতের অপারেশনটি হওয়া এখনও বাকি আছে।
তার ছেলের হৃদযন্ত্রের অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং দ্রুতই সে সেরে উঠছে বলে জানিয়েছেন শিশুটির মা।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, “আমাদের বিশ্বাস ছিল শিশুটির যন্ত্রণা সাময়িক কিন্তু এ ছোট ছেলেটির আয়ু এত স্বল্প নয়। তাই রোগ নিরাময়ের এই পন্থাকে বেছে নিয়েছিলাম।”
৩১ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�