আখেরে যে নিচেই নামায় তা আঙুল দিয়ে দেখাল কিশোরী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্খা মানুষকে যে আখেরে নীচেই নামায় তা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল নয়াদিল্লির এই কিশোরী। বাড়ির সিন্দুক থেকে ৩৮ লাখ টাকা চুরি করে তিন বান্ধবীকে সাথে নিয়ে দেরাদূন-এ গিয়ে শপিংয়ে মাতল সে।
গত বুধবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে ভারতের নয়দিল্লিতে। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নিধি (নাম পরিবর্তিত) তার এক বান্ধবীকে সাথে নিয়ে বাড়িতে রাখা সিন্দুক থেকে টাকা চুরির পরিকল্পনা করে। বাবা-মা দাওয়াত খেতে যাওয়ায় সে দিন বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগে সিন্দুক খুলে টাকা বাহির করে নেয় তারা। পর দিন স্কুল থেকেই ট্যাক্সি ধরে নিজামুদ্দিন স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সঙ্গে নিধি-র স্কুলেরই তিন বান্ধবী ছিল। তবে স্টেশনে পৌঁছে তারা দেখে কয়েক ঘণ্টায় দেরাদূন যাওয়ার কোনও ট্রেন নেই। তারা সেই ড্রাইভারকে রাজি করিয়ে ট্যাক্সি চেপেই দেরাদূন পৌঁছায় শুক্রবার। ১১ হাজার টাকা ভা়ডাও গুনতে হয় তার জন্যে।
সেখানে একটি বিলাসবহুল হোটেলে উঠেন চার বান্ধবী। যার ভাড়া দিন প্রতি ১০ হাজার টাকা। হোটেলে চেক-ইন করার পর চার জন বেরিয়ে পড়ে শপিং করতে। প্রায় ৮০ হাজার টাকার শপিং করে তারা। এ দিকে, পুলিশের কাছে মিসিং ডাইরি করে সকলের অভিভাবকরা। পুলিশের ধারণা হয়, মেয়েদের অপহরণ করা হয়েছে। তারাও সেই মতো তদন্ত শুরু করে। ডিসিপি মনদীপ রনধাওয়া একটি বিশেষ তদন্তকারি দল গঠন করেন এসিপি অনিল যাদবের নেতৃত্বে। মোবাইল টাওয়ার লোকেশনে দেখা যায়, চারজনেরই মোবাইল দিল্লিতেই সুইচ অফ করা রয়েছে। মেয়েদের খোঁজে রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করে পুলিশ। সেখান থেকেই ওই ট্যাক্সি চালকের খোঁজ মেলে। তার কাছ থেকেই ওই মেয়েদের ব্যাপারে জানতে পারে পুলিশ।
সেই মতো পুলিশের একটি দল রওনা দেয় দেরাদূনে। ফোনে সেই হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে কাথ বলে নির্দেশ দেয়, মেয়েরা ফিরলে যেন তাদের ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়, যত ক্ষণ না পুলিশ সেখানে পৌঁছচ্ছে। শনিবার রাতে শপিং সেরে ফেরার পর দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পর দিন সকালেই পুলিশ সেখান থেকে ওই চার জনকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় দিল্লি। তখনও নিধি-র কাছে প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা নগদ রয়েছে। ডিসিপি রনধাওয়া জানিয়েছেন, পুলিশ আইন মোতাবেক চলবে। সেই অনুযায়ী এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।-এই সময়।
১ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�