আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্কুলের ক্লাসে মনোযোগ কম, বান্ধবীকে প্রেম প্রস্তাব সহপাঠীর। আর তাতেই অগ্নিশর্মা পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। স্কুল চলাকালীনই মেরে ওই সহপাঠীর নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল একাদশ শ্রেণির বিশ্বজিত্ দাসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার।
ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত ছাত্রের পরিবার। আহত ওই ছাত্রকে নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। আহত ছাত্র সোহেল রহমানের বাড়ি জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন ব্রক্ষ্মতল পাড়ায়। আর অভিযুক্ত ছাত্র বিশ্বজিত্ দাসের বাড়ি জলপাইগুড়ির ভাটিয়া বিল্ডিং এলাকায়।
জানা গিয়েছে, শহরেরই অন্য় একটি স্কুলের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব হয় বিশ্বজিত্ দাসের। পরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় সোহেলেরও। বন্ধুরা জানিয়েছে, সোহেল ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এই খবর পাওয়ার পর শনিবার স্কুল চলাকালীন সোহেলের ওপর চড়াও হয় বিশ্বজিত্। এই সময় অন্য সহপাঠীদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে চলে যান স্কুলের শিক্ষকরাও। এর পরেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় বিশ্বজিত্ দাস নামে ওই ছাত্র। যদিও আক্রান্ত ছাত্রটি জানায়, সে এই বিষয়ে কিছুই জানে না।
স্কুল চলাকালীন এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্কুলের প্রধানশিক্ষক। জলপাইগুড়ি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ গুন জানিয়েছেন, কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা জানতে দুই ছাত্রের অভিভাবকদের সঙ্গেই তিনি কথা বলবেন।
আক্রান্ত ছাত্র সোহেল হরমান সম্পর্কে পদ্মশ্রী করিমূল হকের ভাগ্নে। জলপাইগুড়ির প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের বাইকে করে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন তিনি। এই কাজের জন্যই করিমূল হককে পদ্মশ্রী সম্মান দিয়েছে ভারত সরকার।
এমটিনিউজ/এসএস