সিরিয়া থেকে বিয়ে করে ইউরোপে শিশুরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপে এর আগে বাল্যবিয়ের কথা শোনা না গেলেও এখন ঘটছে তা-ই। সিরিয়া থেকে বিয়ে করে নেদারল্যান্ডে পাড়ি জমাচ্ছে শিশুরা৷ জার্মানিতেও এই হিড়িক শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
ফাতিমা নামের একটি মেয়ে নেদারল্যান্ডে এখন খুব আলোচিত৷ গত ৩১ আগস্ট থেকে সে উধাও৷ মেয়েটির বয়স মাত্র ১৪৷ এ বয়সেই সে বিবাহিত এবং এক সন্তানের জননী৷ ১২ বছর বয়সেই মা হয় ফাতিমা৷ তখন সে ছিল সিরিয়ায়৷ কিন্তু স্বামীর সঙ্গে নেদারল্যান্ডে আসার পর ডাক্তার দেখাতেও সে যায়নি৷ তাকে বা তার পরিবারের কাউকেই খুঁজে পাচ্ছে না ডাচ সরকার৷
এ ঘটনা বেশ নাড়া দিয়েছে নেদারল্যান্ডের প্রশাসনকে৷ ধারণা করা হচ্ছে, সিরিয়া থেকে আসা ফাতিমা আবার দেশান্তরি হয়েছে৷ বালিকা বধূ ফাতিমার নিরুদ্দেশ হওয়ার রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে দেখা গেছে নেদারল্যান্ডে ফাতিমার মতো মেয়ে আরো আছে৷ অনেক শিশু বয়সের মেয়েই সিরিয়া থেকে আসছে সন্তানের মা হয়ে৷
নেদারল্যান্ড এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশে নিজের দেশ থেকে কোনো ছেলে বা মেয়ে বিয়ে করে এলে বয়স খুব কম হলেও সেই বিয়ে মেনে নেয়া হয়৷ সে কারণে সিরিয়ার অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিয়েকেও স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে৷
কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় বিদেশ থেকে কেউ ১৮ বছরের আগে বিয়ে করে এলে সেই বিয়েকে স্বীকৃতি না দেয়ার আইন প্রণয়নের কথা ভাবা হচ্ছে৷ নেদারল্যান্ডের অভিবাসন মন্ত্রী ক্লাউস ডিওকফ জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরেই এ আইন কার্যকর হতে পারে৷
কেন এত কম বয়সে বিয়ে করছে সিরীয় মেয়ে শিশুরা? মানবাধিকার সংস্থা ‘টেরে ডেস ফেমেস'-এর ক্রিস্টা স্টোলে তুরস্কে গিয়েও বিষয়টা বুঝতে চেয়েছেন৷ সেখানে গিয়ে তিনি দেখেছেন, অনেক মেয়ে শিশুরই সেখানে বিয়ে হচ্ছে৷
শৈশবে সন্তানের জননীও হচ্ছে তারা৷ স্টোলে দেখেছেন, অনৈতিক কর্ম, নিপীড়ন থেকে সন্তানদের বাঁচাতেই বাবা-মা তাদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেন৷ বিয়ের জন্য বিদেশি, বিশেষ করে ইউরোপের পাত্রকেই বেশি পছন্দ করেন বাবা-মা। কেননা ইউরোপের কাউকে বিয়ে করলে যুদ্ধ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়৷
জার্মানিতেও এমন বালিকা বধূ খুব শিগগিরই বেশি হারে দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে৷ সূত্র : ডয়চে ভেলে
২ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম
�