আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হরিয়ানার বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংকে নিজের দুই নারী সাধ্বির সম্ভ্রমহানীর দায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সিবিআইয়ের আদালত। পাশাপাশি ৩০ লাখ রুপিও জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার আদালতের রায়ের পর রোহতক জেলার সুনারিয়া কারাগারে শুরু হয়েছে তার জেল জীবন।
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এ স্বঘোষিত এই ধর্মগুরু শুধু ধর্মীয় ক্ষেত্রেই পরিচিত নন। তিনি সিনেমার পর্দায় নায়ক, গায়ক এবং পরিচালকও বটে। ২০১৪ সাল থেকে তিনি সিনেমা প্রযোজনা ও অভিনয়ে নামেন। তার প্রথম ছবি 'মেসেঞ্জার অফ গড' সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ছবি মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ছবির বক্স অফিস কলেকশন ছিল ১০০ কোটি রুপি। যা সে সময়ে মুক্তি পাওয়া রনবীর কাপুরের 'রয়' ছবিকেও ছাপিয়ে যায়।
প্রথম ছবিতেই 'অসামান্য' সাফল্য পাওয়ায় একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেন ধর্মগুরু রাম রহিম। এ পর্যন্ত তার পাঁচটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে মেসেঞ্জার অফ গড, দ্য লায়ন হার্ট, জয়তু ইঞ্জিনিয়ার অন্যতম।
আসুন জেনে নেই গুরমিত সিংয়ে সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া ছবি 'জয়তু ইঞ্জিনিয়ারে' কী আছে-
সিনেমাটির অফিসিয়াল ট্রেলারের প্রথম দৃশ্যে দেখা যায়- বিস্তৃর্ণ মাঠে টয়লেট সারছেন অসংখ্য মানুষ। এদের মধ্যে একজন আবার একটু উঁচু ময়লার স্তুপে বসে সারছেন প্রাতকর্ম। অন্য দুইজন তাকে উদ্দেশ করে গান শুরু করে দিয়েছে।
গানের কথাগুলো এরকম- 'তেরে স্বপ্নকো রানি কাব আয়ে গা? যায়ে গি তো সাম, তব আয়ে গা?' (তোর স্বপ্নের রানি কবে আসবে? সন্ধ্যা শেষ হলে তবেই কি আসবে?') এখানে ওই ব্যক্তির শৌচকর্মে ধীর গতির কারণে আসলে তাকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। গানে গানে একপর্যায়ে তাকে 'জোর' লাগাতেও বলছে ওই দুই ব্যক্তি।
একজন আবার ওই অবস্থাতেই সেলফি তুলছেন। অবশেষে চলে আসে শৌচকর্মে লিপ্ত ব্যক্তির 'স্বপ্নের রানি' (হালকা হওয়ার অশ্লীল শব্দ)। বির্তকিত ধর্মগুরু গুরমিতের এই সিনেমার ট্রেলারে আরও দেখা যায়- একটি বাইকে করে আসছেন গ্রামের স্কুলের হেডমাস্টার (গুরমিত)। তার পেছনে পেছনে ছুটছে গ্রামের ছেলেমেয়েরা।
ছেলেমেয়েদের স্কুলে আসার জন্য মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু ছেলেমেয়েরা স্কুলে না গিয়ে পাশের পুকুরে লাফিয়ে পড়ে গোসল করায় ব্যস্ত। ছেলেমেয়েদের পরিবর্তে একপাল গরুকে স্কুলে ঢুকতে দেখা যায়। এরপর দেখা যায় বস্তাপচা অশ্লীল অ্যাকশন দৃশ্য। চার মিনিট এক সেকেন্ডের এই ট্রেলারটি গুরমিত রাম রহিমের ভেরিফাইড ইউটিউব চ্যানেল (Saint MSG) থেকে নেয়া হয়েছে।
ট্রেলারে আরও দেখা যায়- হেডমাস্টারের থাকার কোয়ার্টার ব্যবহৃত হচ্ছে মুরগির খোয়াড় হিসেবে। মাস্টার মশায় আবার হাডুডু খেলাও পারদর্শী। সে দৃশ্যও আছে ট্রেলারে। আছে হুলি খেলার দৃশ্য, যেখানে মাস্টার মশাইয়ের (গুরমিত) একটি কম বয়সী মেয়ে নজরে আসে হেডমাস্টার সাহেবের। তিনি বিশেষভাবে রাঙিয়ে দেন সেই মেয়েকে।
এছাড়া, গ্রামের মুখিয়াকে চড় মারা, ক্ষেতে কাজ করা, অলস গ্রামবাসীকে কর্মঠ বানানো ইত্যাদি দৃশ্যও আছে ওই ট্রেলারে।
এমটিনিউজ/এসবি