আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুই সাধ্বির সম্ভ্রমহানীর দায়ে জেলে গিয়েছেন গুরমিত রাম রহিম সিং। জোড়া রায়ে আপাতত জোড়া সাজা দিয়েছে আদালত। পর পর দশ বছর করে ২০ বছর জেল খাটতে হবে। কিন্তু বাবার জেল যাপন অতিষ্ঠ করে তুলেছে বাকি বন্দিদের। জেলের মধ্যেও চিৎকার করে রাত কাঁপাচ্ছেন তিনি।
বাবার সঙ্গে এক সেলে পাঁচ দিন কাটানোর পরে এক জেলবন্দি সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন ঠিক কী কী করছেন বাবা জেলে। তিনি যা দেখেছেন তাতে বাবাজি জেলে যাওয়ার পরে প্রথম পাঁচ দিন একটুও ঘুমোননি।
নিজে যেমন ঘুমোননি তেমন ঘুমোতে দেননি ওই সেলেই বন্দি স্বদেশ কিরাদ নামে এক কয়েদিকেও। সংবাদসংস্থার কাছে কিরাদ দাবি করেছেন, সারারাত রাম রহিম ঘুমোননি। কেদে চলেছেন ও চিৎকার চেচামেচি করছেন। তবে তার কান্নায় আক্ষেপ নেই। তিনি নাকি কাঁদতে কাঁদতে বলছেন- 'রব্বা, মেরা কেয়া কসুর হ্যায়?'
রাম রহিম জেলের মধ্যে সে ভাবে কিছু খাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন স্বদেশ। কেবল দুধ, চা, জল, বিস্কুট খাচ্ছেন। সেই সঙ্গে স্বদেশ জানিয়েছেন, রোহতকের সোনারিয়া জেলের ভিতরে গুরমিত রাম রহিমকে কোনও রকম ভিআইপি ট্রিটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে না। তবে তাকে একটু আলাদা করে রাখা হয়েছে। তার কারণ অবশ্য অন্য।
স্বদেশের দাবি, গুরমিতের বিচার নিয়ে যে হাঙ্গামা হয়েছে তাতে জেলের অন্যান্য বন্দিদের মধ্যে বাবা রাম রহিম কিংবা ডেরা সমর্থকদের উপরে রাগ রয়েছে। এর জন্য গুরমিত যাতে আক্রান্ত না হন সে কারণেই একটু আলাদা রাখার ব্যবস্থা করেছে জেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, মাঝা ও পিঠের ব্যাথার জন্য পালক কন্যা হানিপ্রীতকে নিয়ে এক সঙ্গে জেলে থাকতে চেয়েছিলেন রামরহিম। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ হানিপ্রীতকে তার সাথে থাকতে দিতে রাজি হয়নি। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার হানিপ্রীতের নামে লুকআউট নোটিস জারি করেছে পুলিশ। তারপর থেকে লাপাত্তা হানিপ্রীত।
এমটিনউজ/এসএস