বিনোদন ডেস্ক : ‘কোন রাজ্যে পালাবেন তিনি’— এমন হাসাহাসি সোশ্যাল মিডিয়ায় চলতে থাকে। যা শুরু হয়েছে, তাতে বিপদই স্পষ্ট।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ও বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনায় একটি কথা খুব উঠে আসে, ‘অসমে বিজেপি, বিহারে বিজেপি, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি, আর ওড়িশাতেও কয়েকদিন পরে আমরাই। দিদি কোথায় পালাবেন?’
মজার কথা আর মজা থাকছে কোথায়? যা শুরু হয়েছে, তাতে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় একটি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে সরকার চালানোই কঠিন হয়ে পড়বে।
এখনও বিজেপি শাসিত রাজ্যে বিপদে পড়তে হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সপ্তাহ খানেক আগেই পটনাতে গিয়ে বিজেপি-বিরোধী সভা করে এসেছেন লালু প্রসাদের ডাকে।
কিন্তু অ-বিজেপি শাসিত সরকারের হাতে তাঁর প্রশাসনকে এমন অপদস্থ হতে হবে, তা সম্ভবত ভাবতেও পারেননি মমতা।
গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনকে প্রকাশ্যেই সমর্থন করেছিলেন আগেই। আর এবার সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গকে আশ্রয় দিয়ে ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
চিঠি দিয়ে আগাম জানানো সত্ত্বেও সিকিমের নামচিতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অভিযানেও সহযোগিতা করেনি চামলিং সরকার। উল্টে কালিম্পঙের এসপি-র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই সুযোগে লুকিয়ে পড়েছেন বিমল গুরুঙ্গ।
এর পরেও সিকিমে গিয়ে মোর্চা সভাপতি ও তাঁর শাগরেদদের ধরা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে মমতা সরকারের শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে।
ঘটনাচক্রে চামলিঙের সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট আবার বিজেপি-র নেতৃত্বে গড়ে ওঠা নর্থ-ইস্ট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনইডিএ-র সদস্য। অসমের বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মার উদ্যোগেই সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, অসম ও নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীরা এই অ্যালায়েন্সের সদস্য হয়েছেন। বকলমে তাঁরাও এনডিএ-তেই।
এভাবে যদি কোনও অঙ্গরাজ্য অন্য একটি অঙ্গরাজ্যের সঙ্গে আইনের শাসন লাগু করার ক্ষেত্রে অসহযোগিতা করতে শুরু করে, তাহলে এটি অশনি সংকেত তো বটেই। এভাবেই কি অসহযোগিতার মাধ্যমে ভবিষ্যতে মমতাকে ‘ঘিরবে’ কেন্দ্রের শাসক দল। -এবেলা
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস