আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়িপ এরদোগানের সাথে বৈঠক করেছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস প্রধান খালেদ মেশাল। সোমবারের ওই বৈঠকে মেশাল আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের বিষয়টি অবহিত করলে ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান এরদোগান।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্ব জেরুজালেমের পবিত্র এই স্থানটিতে গত রোববার সহিংসতার সূত্রপাত হয়; যা সোমবার দিনও অব্যাহত ছিল। এ সহিংসতার পরেই হামাসের রাজনৈতিক প্রধান মেশালের সঙ্গে এরদোগানের এ বৈঠক হয়। স্থানটিকে ইহুদী ও মুসলমান উভয় তাদের পবিত্র স্থান বলে সম্মান করে থাকে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, এই সহিংসতায় কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছে। বৈঠকে এরদোগান অত্যন্ত জোরালোভাবে এ সহিংসতার নিন্দা জানান। এ ব্যাপারে এরদোগানের সংবেদনশীলতা এবং সমর্থনের জন্য মেশাল তাকে ধন্যবাদ জানান।
আল-আকসা বিষয়ক মহাপরিচালক শেখ আজম আল-খতিব আনাদুলো এজেন্সিকে জানান, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে প্রচণ্ড সংঘর্ষের পর সোমবার ইসরাইলি বাহিনী ওই স্থানটি থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ইসরাইলি পুলিশ পরে ফিলিস্তিনিদের মসজিদটিতে ফিরে যেতে অনুমতি দেয়।
এদিকে, সোমবারের এই ঘটনায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জন কিরবি তার উদ্বেগ প্রকাশ করে এই সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। কিবরি বলেন, ‘হারাম আল-শরীফ জুড়ে সম্প্রতি এ সহিংসতা ও ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্র গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। সহিংসতার সব ধরণের প্রচেষ্টাকে আমরা দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাই।’
উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। আল-আকসা মসজিদকে বিশ্বে মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সূত্র: ওয়ার্ল্ড বুলেটিন
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস