আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিজের আশ্রমের সাধ্বীদের সম্ভ্রমহানী করায় বর্তমানে শ্রীঘরে হরিয়ানার ডেরা সচ্চা সওদার প্রধান বাবা গুরমিত রাম রহিম। আগামী ২০ বছর জেলের ঘানি পিষতে হবে তাকে। কিন্তু তারপরেও একের পরে এক অজানা তথ্য উঠে আসছে বাবা সম্পর্কে।
রাম রহিম তার ভক্তদের বলত যে, সে নাকি ঈশ্বরের দূত। ভক্তরাও সেই কথা চোখ বুঝে বিশ্বাস করত। সেই সুযোগ নিয়েই সোনার দামে ভক্তদেরকে সবজি বিক্রি করত এই ভন্ডবাবা। একটা কাঁচা লঙ্কার দাম বাবার ডেরায় ছিল ১০০০ টাকা আর আধ কিলো মটরের দাম এক লক্ষ টাকা।
ভক্তদের কাছে বাবা বলত যে, এই সবজি হল ঈশ্বরের প্রসাদ। আর ভক্তদের রোজগার অনুযায়ী, তাদের কাছে চড়া দাম হাঁকতো রাম রহিম। এমনকী, এক একটি পেঁপে পাঁচ হাজার আর দুটো টোম্যাটো দু'হাজার টাকায় বিক্রি করত সে।
অদ্ভুত ভাবে বাবার ভক্তরাও চোখ বুজে এই আকাশছোঁয়া দামে সবজি কিনত। এই সবজি ঘরে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেছিল বাবা। আর 'ঈশ্বরের দূত' রাম রহিমের থেকে এই সবজি প্রসাদ দাম দিয়ে কিনতে পারলে নিজেদের ধন্য মনে করত বাবার অনুগামীরা। এভাবেই চিটিংবাজি করে আয় করতো।
ইতিমধ্যেই বাবার বিরহে এক ভক্ত গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত ২৫ আগস্ট পাঁচকুলায় দাঙ্গা করার অভিযোগে গ্রেফতার হয় এই ২৮ বছরের রবিন্দর। তারপরে রাম রহিম সিংহের জেলে থাকার দুঃখে জেলেই আত্মহত্যা করে সে।
এমটিনিউজ/এসএস