আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাবা গুরমিত রাম রহিম এখন জেলে৷ সাধিকাকে ধর্ষণ করায় ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত গুরমিত রাম রহিম সিং৷ অন্যদিকে সোমবারই হরিয়ানা পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন বাবা রাম রহিমের পালিত কন্যা হানিপ্রীত সিং!
আর এই বাবার নানা কাণ্ডই এখন খবরের শিরেনামে৷ নতুন খবর অনুযায়ী, জন্মদিন থেকে শুরু করে জন্মস্থান সব ব্যাপারেই মিথ্যা বলেছিলেন গুরমিত৷
বার্থ সার্টিফিকেট অনুযায়ী, গুরমিতের আসল নাম হরপাল সিং৷ জন্ম হয়েছিল রাজস্থানের পঞ্জাবের কীকড় খড়া গ্রামে৷ এমনকী, গুরমিতের জন্ম মোটেই ১৫ আগস্ট নয়, যা বলে তিনি প্রচার করতেন৷ উল্টে গুরমিতের জন্ম তারিখ ১০ জুলাই৷
যতদিন যাচ্ছে তত একের পর এক বাবা রাম রহিমের কুকীর্তির কথা প্রকাশ্যে আসছে৷ তিন বছর ধরে টানা সম্ভ্রমহানী করেছিলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু। শাস্তি হিসাবে জেলে কাটাতে হবে ২০ বছর।
দুই সাধ্বীকে সম্ভ্রমহানীর দায়ে গুরমিত রাম রহিমকে ১০ বছর করে দুটি অপরাধে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। এবার তার বিরুদ্ধে আরও ভয়ানক অভিযোগ জানাল দাদরির তিবালা গ্রামের এক বাসিন্দা৷ অভিযোগ তাদের মেয়ে রেনু ওরফে শ্রদ্ধাকে ডেরাতে আটকে রাখা হয়েছে৷
অনাথ এই মেয়েটি আশ্রমে যাওয়ার পর আর কোনওদিন গ্রামে ফেরেনি৷ ২০০৬ সালে ভাইয়ের সঙ্গে ডেরায় পড়াশোনা করতে গিয়েছিল শ্রদ্ধা৷ এরপর থেকে দু’জন আর ফেরেনি৷ অনেক চেষ্টা করার পর শ্রদ্ধার ভাই জয়জিৎকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয় ডেরা৷
তবে, শ্রদ্ধার এখনও পর্যন্ত কোনও হদিশ মেলেনি৷ পরিবারের অভিযোগ তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল৷ এখন সে বেঁচে রয়েছে কিনা সে বিষয়েও তারা কিছু জানে না৷ ডেরার উপর ভরসা করে পড়াশোনা করার জন্য শ্রদ্ধা ও তার ভাইকে আশ্রমে পাঠানো হয়েছিল৷
তবে, কিছুদিন পর ডেরায় গেলে শ্রদ্ধার সঙ্গে তার পরিবারকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি৷ জয়জিৎ লুকিয়ে কখনও কখনও পরিবারের সঙ্গে দেখা করে যেত৷ সাত বছর ধরে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার পরিবারের সদস্যরা৷ মেয়েকে উদ্ধার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখেছে তার পরিবারের সদস্যরা৷
এমটিনিউজ/এসএস