মঙ্গলবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৮:৩০:২৭

‘ভণ্ডগুরু’ রাম রহিমের ডেরার প্রতিটি মরিচ ১০০০ টাকা, পেঁপে ৫০০০!

‘ভণ্ডগুরু’ রাম রহিমের ডেরার প্রতিটি মরিচ ১০০০ টাকা, পেঁপে ৫০০০!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিজ আশ্রমের নারী ভক্তদের শারীরিক নির্যাতন করায় বর্তমানে শ্রীঘরে রাত কাটাচ্ছেন ডেরা সচ্চা সওদার প্রধান বাবা গুরমিত রাম রহিম। আগামী ২০ বছর ধরে জেলের ঘানি টানতে হবে বাবাকে। এ ঘটনা যেন মানতেই পারছেন না বাবা। বার বার প্রিয়জনের সঙ্গ পাওয়ার চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে তার পালিত কন্যা হানিপ্রীত ছাড়া তার দিনরাত কাটছেই না।

তবে বন্দীদশায় এই অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যেই বাবা সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য বের হয়ে একে একে। এবার জানা গেল বাবার আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া ব্যবসা সম্পর্কে।

বাবা রাম রহিম তার ভক্তদের বলতেন তিনি নাকি ঈশ্বরের দূত। ভক্তরাও সেকথা চোখ বুঝে বিশ্বাস করতো। বিশ্বাসের এই সুযোগ ভালোই কাজে লাগিয়েছিলেন বাবা। বাবার বাগানের সবজি ঈশ্বরের দান হিসেবে বিশ্বাস করতো ভক্তরা। আর বাবার পরামর্শে সোনার দামে সেসব সবজি কিনে নিতেন। বাবার ক্ষেতের একটা কাঁচা মরিচ বিক্রি করতেন ১০০০ টাকায়। আর আধা কেজি মোটরের দাম ধরতেন এক লাখ টাকা।

ভক্তদের কাছে বাবা বলতেন, এই সবজি হল ঈশ্বরের প্রসাদ। আর ভক্তদের রোজগার অনুযায়ী, তাদের কাছে চড়া দাম হাঁকতেন। এমনকী, এক একটি পেঁপে পাঁচ হাজার আর দুটো টেমেটো দু’হাজার টাকায় বিক্রি করতেন।

অদ্ভুতভাবে বাবার ভক্তরাও চোখ বুজে এই আকাশছোঁয়া দামে সবজি কিনতো। তবে কেনা সবজি ভক্তদের ঘরে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করতেন বাবা। বলতে কি, ‘ঈশ্বরের দূত’ রাম রহিমের কাছ থেকে ওইসব সবজি প্রসাদ দাম দিয়ে কিনতে পারলে নিজেদের ধন্য মনে করতেন বাবার অনুগামীরা।

ভক্তরা বাবার প্রেমে এতোই দেওয়ানা ছিলেন যে, ইতোমধ্যেই এক ভক্ত বাবার বিরহে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গেল ২৫ অগস্ট পাঁচকুলায় দাঙ্গা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২৮ বছর বয়সী ভক্ত রবিন্দর। পরে বাবার জেলে থাকার দুঃখে জেলেই আত্মহত্যা করেন।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে