উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমায় উৎসাহী পাকিস্তান! চিন্তায় ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  পরমাণু বোমা ও মিসাইলের বিস্তারে এক গোপন সম্পর্ক রয়েছে উত্তর কোরিয়া আর পাকিস্তানের। আর অবশ্যই এর পিছনে প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে চিনের। তাই উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের কপালে। উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমায় উৎসাহী পাকিস্তান! চিন্তায় ভারত।

ভারতের বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন চাইলেই উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারত। কিন্তু ইসলামাবাদ আর পিয়ংইয়ং উভয়ের পরমাণু অস্ত্র বিস্তারের প্রচেষ্টায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে চাইছে না বেজিং। ভারতের আশঙ্কার বিষয় হল, উত্তর কোরিয়ার এইসব সফল অস্ত্র পরীক্ষায় পরোক্ষে লাভবান হচ্ছে পাকিস্তান।

পরমাণু অস্ত্র ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে পাকিস্তান। এমনকি ওয়ারহেডের সংখ্যায় ভারতকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই ২২০০ কিলোমিটার রেঞ্জের ‘আবাবিল’ ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে পাকিস্তান, যাতে রয়েছে MIRV অর্থাৎ যা নাকি একটি মিসাইলেই একাধিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। ভারতের অগ্নি সিরিজের ব্যালিস্টিক মিসাইলেও এই ক্ষমতা থাকবে।

বলা বাহুল্য, কিছুদিন আগেই জাপান সফরে গিয়ে অরুণ জেটলি উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেন। বিশেষ জাপান এই ব্যাপারে আরও বেশি চিন্তিত। তবে ভারতের ক্ষেত্রে চিন্তার বিষয় হল পাকিস্তান। কারণ চিন চাইলে উত্তর কোরিয়ার মত পাকিস্তানকেও এই কাজে সাহায্য করতে পারে।

আর বিষয়টা মোটেই অজানা নয় যে কয়েক দশক ধরে এই দুই দেশকে প্রচ্ছন্ন মদত দিয়ে আসছে চিন। বেজিং-ই প্রথম পাকিস্তানকে ইউরেনিয়াম ডিভাইসের ডিজাইন দিয়েছিল। এমনকি চিনের মাটি থেকে একটি পাকিস্তানের একটি নিউক্লিয়ার ডিভাইসও পরীক্ষা করা হয় ১৯৯০ তে।

উত্তর কোরিয়ার মিসাইল টেকনোলজিতেও সাহায্য করেছে চিন। জানা যায়, এক গোপন চুক্তিতে পাকিস্তান উত্তর কোরিয়াকে দিয়েছিল পরমাণু অস্ত্রের প্রযুক্তি আর বদলে পিয়ংইয়ং ইসলামাবাদের হাতে মিসাইল প্রযুক্তি তুলে দেয়। যেমন, পাকিস্তানের ১৫০০ কিলোমিটারের ‘ঘৌরি-আই’ মিসাইল আসলে উত্তর কোরিয়ার ‘নদং’ মিসাইলের ধাঁচেই তৈরি। -কলকাতা২৪

এমটিনিউজ২৪/এম.জে