আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরব এবং তার মিত্র দেশগুলোর সাথে গত কয়েক মাস ধরে কাতারের যে বিরোধ চলছে সে অবসানের জন্য কাতারে আমির সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
কাতারের আমির সৌদি আরবকে আলোচনার আহবান জানিয়ে বলেছেন সৌদি আরব এবং তার মিত্র দেশগুলো কাতারের কাছে যেসব দাবি তুলে ধরেছে সেগুলো নিয়ে তারা আলোচনায় আগ্রহী।
সন্ত্রাসবাদে সমর্থন জোগানোর অভিযোগ এনে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশরসহ চারটি দেশ কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
যদিও সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেবার অভিযোগ কাতার বরাবরই অস্বীকার করছে।
সৌদি আরবের বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, " টেলিফোন আলাপের সময় কাতারের আমির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চারটি দেশের দাবি নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসার।"
বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরব বাকি তিনটি দেশ- বাহরাইন, মিসর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কথা বলবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতারের নেতাদের সাথে আলাদাভাবে কথা বলার পর দুই দেশের মধ্যে এ টেলিফোন আলাপ হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের হুমকি মোকাবেলার জন্য সে অঞ্চলে আমেরিকার মিত্র দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে।
সৌদি আরবসহ চারটি দেশ কাতারের কাছে যেসব শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সংবাদ-ভিত্তিক চ্যানেল আল-জাজিরা বন্ধ করা এবং ইরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা।
কিন্তু এসব শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে কাতার।
কাতার সঙ্কটে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী ট্রাম্প
কাতারের সাথে উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) কয়েকটি দেশ ও মিত্রদের তিন মাস ধরে চলা সঙ্কট নিরসনে মধ্যস্থতাকারী হতে চান বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে সফররত কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-সাবাহর সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প তার ইচ্ছার কথা জানান।
তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার মাধ্যমে আমরা সবচেয়ে বেশি সাফল্য পাবো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, কাতার ও প্রতিবেশীদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব মেটাতে কুয়েতের আমিরের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন তিনি। তবে এতে কাজ না হলে তিনি নিজে মধ্যস্থতাকারী হতে চান। তিনি বলেন, আমি মনে করি এটা (কাতার সঙ্কট) খুব সহজেই সমাধান করা যাবে। ট্রাম্প আরো বলেন, এই প্রচেষ্টায় কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন ও মিসর যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। বর্তমানে তাদের প্রত্যেকের সাথেই আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে, সম্ভবত অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে ভালো।
এ দিকে কাতারের ওপর থেকে উপসাগরীয় চার দেশ অবরোধ তুলে নিয়েছে বলে যে মন্তব্য করেছিলেন শেখ সাবাহ, তার প্রতিবাদ করেছে ওই চার দেশ। কুয়েতের আমির বলেছিলেন, আরব বিশ্বের দেশগুলোর সাথে কাতারের যুদ্ধের যে হুমকি তৈরি হয়েছিল তার অবসান ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছিলেন। শেখ সাবাহ বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এটাই যে আমরা যেকোনো ধরনের সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করেছি।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, কিছু দেশ এখনো বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনকে অর্থায়ন করছে। এ ক্ষেত্রে একাধিক দেশ দায়ী। কিছু দেশ সন্ত্রাসবাদে বিশাল অর্থায়ন করছে।-বিবিসি
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস