আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ডোকলামের তরাই এলাকার দখল নিয়ে দীর্ঘ প্রায় তিনমাস অচলাবস্থা চলার পরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে ভারত-চীন দুই পক্ষই। সম্পর্কের বরফ গলার পিছনে ভারত-চীন দুই দেশেরই কূটনীতিকদের বড় হাত রয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ২৭ আগস্ট তারিখে চীনের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিজয় গোখলেকে ফোন করে আলোচনার জন্য ডাকা হয় চীনে। তিনি তৎক্ষণাৎ আসতে পারবেন কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। গোখলে জানান, তিনি হংকংয়ে রয়েছেন। বেইজিং ফিরতে মধ্যরাত গড়িয়ে যাবে। সেইমতো তিনি বেজিংয়ের বিমানের টিকিট কেটে ফেরত আসেন। এবং রাত দুটোর সময়ে চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ডোকলাম নিয়ে বৈঠকে বসেন। তারপরই মোট তিন ঘন্টাটার আলোচনার পর দুইপক্ষ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় বলে জানা গিয়েছে।
ভারত ও চীন এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুই শক্তিধর দেশ। সমস্যা সমাধানে বৈরিতা না বাড়িয়ে যেভাবে পরিণতমনস্কর মনোভাব দেখিয়েছে বেইজিং ও নয়াদিল্লি তাতে কূটনৈতিক স্তরে দুই দেশকেই ধন্য ধন্য করছে সারা বিশ্ব।
গত জুন মাস থেকেই ডোকলামের তরাই এলাকায় ভারত-চিন দুই দেশের সেনা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়ায়। চিন বারবার সেনা সরানো নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিলেও নয়াদিল্লি তা অগ্রাহ্য করে সেনা মোতায়েন রাখে। পাশাপাশি জানিয়ে দেয়, একতরফা সেনা সরানো কোনওভাবে সম্ভব নয়। চিন সেনা সরালে তবেই ভারত সেনা সরাবে।
প্রসঙ্গত, ভারত, ভূটান ও চিনের সীমানায় ত্রিভূজাকৃতি বিন্দুতে অবস্থান এই ডোকলাম তরাই এলাকার। গত জুন মাসের শুরু থেকে এই এলাকার দখল নিয়ে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব চলেছে। চিন বিতর্কিত ডোকলাম তরাই এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করে সেখানে রাস্তা তৈরি করতে উদ্যত হয়। ভূটান জানিয়ে দেয়, এই এলাকা চিনের নয়।
বস্তুত ভারত-ভূটান-চিন সীমান্তের মাঝের একটি বিতর্কিত অংশ এটি। আর সেজন্যই ভূটানের পাশে দাঁড়িয়ে ডোকলামে সেনা নামায় ভারত। চিনের রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা আটকে দেওয়া হয়। তখন থেকেই ডোকলাম ঘিরে বারবার দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়েছে। যদিও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর পরিস্থিতির উন্নতি হয়। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস