আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই একের পর এক মিসাইলের পরীক্ষা করে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। এমনকি, গত কয়েকদিন আগেও হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। পরমাণু শক্তির পাশাপাশি আত্মরক্ষার প্রয়োজনে পরমাণু বাহিনী গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
পরমাণু বাহিনীর সক্ষমতা সংখ্যা ও মান উভয় দিক থেকেই বাড়ানো হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও স্থানে হামলার জন্য পরমাণু বাহিনী গড়ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে কিমের বাবা সামরিক বাহিনীকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নীতি অর্থাৎ ‘সনগান’ গ্রহণ করেছিলেন। এই নীতি সংস্কার করে ‘বাইউনংজিন’ বা অর্থনৈতিক ও পরমাণু উন্নয়ন নীতি গ্রহণ করলেন কিম। পিয়ংইয়ং ২০০৫ সালে নিজেকে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০৬, ২০০৯, ২০১৩, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
নতুন করে ফের মিসাইল ছোঁড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। স্যাটেলাইট ইমেজে ধরা পড়েছে চাঞ্চল্যকর ছবি। এই ছবি ধরার পরেই সতর্ক আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে। চলছে দফায় দফায় মহড়া।
কিমকে ঠেকাতে দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে মোতায়েন হচ্ছে আরও থাড মিসাইল সিস্টেম। যদিও এই সিস্টেম উত্তর কোরিয়ার মিসাইল রুখে দিতে সমর্থ হলেও পরমাণু বাহিনীকে কি রুখতে পারবে? অনেকের মতে, কিমের নয়া এই বাহিনীর শক্তি নিয়ে নাকি এখনও পর্যন্ত কোনও আন্দাজ নেই শক্তিধর দেশগুলির।
এমটিনিউজ/এসএস