বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৪:৩০:০৪

রামরহিমের ঘরে নিত্যনতুন নিষ্পাপ সুন্দরীদের পাঠাতো বিষকন্যারা!

রামরহিমের ঘরে নিত্যনতুন নিষ্পাপ সুন্দরীদের পাঠাতো বিষকন্যারা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : খোজা সাধুরা পাহারা দিত তার নষ্টামি। কুরবানি দল ছিল তার জন্য জীবন উত্‍সর্গ করতে| এছাড়াও গুরমীত রাম রহিমের আরও ভ্রষ্টাচার নিয়ে রোমহর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ইন্ডিয়া টুডে-তে|

তার অধীনে ছিল একদল মহিলা দালাল| এদের কাজ ছিল তার গুহায় নিত্যনতুন কুমারী পাঠানো| এই দালালরা কোনও একসময় নিজেরাই মিটিয়েছিল বাবাজির লালসা| হয়তো ছিল তার ভক্ত| কথায় অন্ধ-বশ হয়ে মিলিত হয়েছিল গুরমীতের সঙ্গে| ডেরায় তাদের পোশাকি পরিচয় বিষকন্যা| কাজ একই ছিল| ভণ্ড গুরুজির লালসা মেটানো| নিজেদের দিয়ে নয়| নিষ্পাপ কুমারীদের যোগান দিয়ে|

এই দালালরা এক একজন ছিল গুরুর যন্ত্রমানবী| যা নির্দেশ আসত মুখ বুজে পালন করত| নানা প্রলোভনে আনত কুমারীদের| ঢুকিয়ে দিত গুরমীতের গুহায়| পাশবিক আনন্দ পেত নিজেদের অতীত সম্ভ্রমহানীর কথা ভেবে| এখন অনেকেই সাক্ষ্য দিয়েছে, গুহা থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হত মেয়েরা|

এমনকী, এত পাষণ্ড, নির্যাতন থেকে বাদ যেত না বাচ্চারাও| জানা গিয়েছে, ডেরায় নিয়মিত আসত কিছু রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তারা| আপ্যায়িত হতো মদ-মাংস-মেয়ে দিয়ে| নইলে নিজের কদর্য কাজ কী করে আইনের হাত থেকে বাঁচাবে শয়তান গুরমীত রাম রহিম! আরও আগেই জেলযাত্রা হওয়া উচিত ছিল এই নরাধমের|

তার নির্দেশে মহিলা দালালরা ভক্ত সমাগমের মধ্যে চিহ্নিত করত সুন্দরীদের| তারপর তাদের আলাদা করে রাখত একটি বড় ঘরে| বাবাজির গুহা লাগোয়া ঘরে| ওই ভক্তদের বলা হতো, বাবাজি আলাদা করে ডেকে পাঠিয়েছে তাদের| চিত্তশুদ্ধ করা হবে তাদের| এক এক করে ডেকে তাদের শুদ্ধ করবে রাম রহিম বাবাজি|

জনা পাঁচেক মেয়েকে প্রতি রাতে রাখা হতো| এক জন গুহায় ঢুকত| বাকি চারজন বাইরে পাহারায় থাকত| একবার গুহা থেকে বেরোলে কেউ মুখ খুলত না| কারণ প্রাণভয় দেখিয়ে তাদের মুখ সেলাই করে দিয়েছে ওই ধর্মগুরু| ফলে তার কীর্তি চাপাই থাকত| অসহায় নির্যাতিতাদের দিয়ে গুরুজির রান্না, কাপড় কাচার মতো কাজও করানো হতো|

ডেরায় ৫০ নম্বর ঘরের পাশে ছিল মন শুদ্ধ কামরা| দেখানে অকথ্য অত্যাচার করা হতো সেই ' অবাধ্য মেয়েদের', যারা গুহায় ঢুকতে চাইত না| একটা চেয়ারে বসানো হতো| তারপর নির্দয় ভাবে একের পর এক তাকে চড় মেরে চলত বিষকন্যারা|

দিনের পর দিন অসহায় মেয়েদের রাখা হতো অনাহারে| এমনকী অনেক সময়ে সম্ভ্রমহারানো মেয়েদের উপরেও এই জিনিস হতো| যাতে বাইরে গিয়ে মুখ না খোলে| রেহাই পেত না পুরুষরাও| ডেরায় কোনও পুরুষ যদি অন্য মহিলার দিকে তাকাত, পেতে হতো চরম শাস্তি| মুখে কালি লেপে গাধায় চাপিয়ে ঘোরানো হতো ডেরায়|

মহিলা ভক্তদের দু ভাগে ভাগ করা হতো| যারা সুন্দরী তারা ঢুকত গুহায়| রান্না, কাপড় কাচা এবং রাম রহিমের লালসা মেটানো ছিল তাদের কাজ| যারা সুন্দরী নয় তারা ডেরা ধোয়ামোছা, রাম রহিমের বক্তৃতা দেওয়ার মঞ্চ সাজানোর কাজ করত|

এই পৈশাচিক সত্য প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে| কিন্তু বাবাজি তো জেলে গেছেন| বেশিরভাগ সাধ্বী চলে গেছে ডেরা ছেড়ে| কিন্তু রয়ে গেছে তিনজন বিষকন্যা| যারা গুহায় মেয়ে পাঠানো থেকে অবৈধ গর্ভপাত, করাতো সবকিছু| এদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে