আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পারলেন না মমতা ব্যানার্জী। ফের আদালতে ধরা খেলেন তিনি। তোপের মুখে পড়লো তার সরকার। দুর্গা পূজার বিসর্জন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি নিয়ে এবার মমতা সরকারকে তিরস্কার করলো কলকাতা হাইকোর্ট। অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি রাকেশ তিওয়ারির প্রশ্নের উত্তরে রীতিমতো বেকায়দায় পড়তে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ১ অক্টোবর মহরম পালন করা হবে। সেই জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার পর থেকে ২ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত রাজ্যে দুর্গাপুজোর বিসর্জন দেওয়া যাবে না। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করা হয়। সেই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার।
''মুখ্যমন্ত্রী বলছেন এখানে সম্প্রীতি আছে? তাহলে একসঙ্গে দু'ধর্মের অনুষ্ঠানে রাজ্য আতঙ্কিত কেন?'' শুনানি চলাকালীন প্রশ্ন প্রধান বিচারপতি আর কে তিওয়ারির। ''কোনও ভিত্তি ছাড়া নিজের মতামত চাপানো যায় না। দু'ধর্মের মানুষ কি একসঙ্গে উত্সব পালন করতে পারেন না?'' প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।
মুখ্যমন্ত্রীর বিসর্জন নির্দেশিকা হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানালেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবুর কথায়,"হিন্দুদের অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আদালতের কাছে থাপ্পড় খেয়েছেন।"
দিলীপবাবু বলেন, "আগেও একাধিক বার মামলা হেরেছে রাজ্য সরকার। যে মামলাই লড়ছে, সেটাই হারছে। তারপরেও শিক্ষা হচ্ছে না। পুজোর একমাস আগে নির্দেশিকা জারি করে অযথা বিতর্ক তৈরি করেছিলেন মমতা ব্যানার্জী। আমরা আগেই বলেছিলাম, উনি হারবেন।"
এদিনই মুখ্যমন্ত্রীর জারি করা বিসর্জন নির্দেশিকা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন স্বপ্নাদেশ পেয়ে কেউ নির্দেশিকা জারি করতে পারে না। রাজ্য সরকার বলছে, এরাজ্যে সম্প্রীতি আছে, তাহলে কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল?
এমটিনিউজ/এসএস