বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৭:১৬:৫৮

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার : রাজনাথ সিং

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার : রাজনাথ সিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের ভেতর তৈরি হওয়া বিতর্কে ইতি টানার ইঙ্গিত দিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। মায়ানমার সরকার তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বলেও জানান তিনি।

রাজনাথ বলেন, রোহিঙ্গারা শরণার্থী নয়, তারা অবৈধ অভিবাসী। তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার সরকার। এতএব এই বিষয়ে আর বিতর্ক তৈরি করার কোনও দরকার নেই।

রাজনাথের মন্তব্যের নিশানা যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলির দিকে, সে কথা বুঝতে অসুবিধা হয় না। কারণ, বেশ কিছু সংগঠন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়।

কয়েকদিন আগেই মায়ানমারের প্রশাসনিক প্রধান সুচি বার্তা দেন, ভেরিফিকেশনের পর নাইপিদাও রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরে আসায় কোনও বাধা নেই। ভারত সরকারও দেশটির সুপ্রিম কোর্টকে স্পষ্ট জানিয়েছে, মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৪০ হাজার রোহিঙ্গাদের ভারতে থাকতে দেওয়া দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কাছে বিপজ্জনক।

বক্তব্যের স্বপক্ষে ভারতীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টকে ঢাল করে ভারত সরকার জানায়, পাক জঙ্গি সংগঠন ও আইএসআই চক্রের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের একাংশের যোগসাজশ রয়েছে। তবে কেন্দ্র একথাও বলেছে, রোহিঙ্গাদের জলে ফেলে দেওয়া হবে না বা গুলি করে হত্যা করাও হবে না। কিন্তু এদেশে তাদের থাকতে দেওয়া হবে না। রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফিরে যেতে হবে।

রাজনাথ এদিন বলেন, ‘রোহিঙ্গারা উদ্বাস্তু নয়, তাদের শরণার্থী হিসাবেও পাঠানো হচ্ছে না। তারা বেআইনি অভিবাসী।’ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি সেমিনারে যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন রাজনাথ। তার সংযোজন, আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেনি ভারত।

একই কথা এর আগে বলেছিলেন দেশটির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুও। তিনিও বলেছিলেন, আইন মেনেই প্রায় রোহিঙ্গাদের ভারত ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে।

রাজনাথের বক্তব্য, ‘মায়ানমার থেকে ভারতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা রিফিউজি নয়। উদ্বাস্তু তকমা পেতে এক নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু যারা পালিয়ে এসেছে, তারা কোনও প্রক্রিয়াই মানেনি।’

এখানেই না থেমে রাজনাথ আরও যোগ করেন, ‘মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে বেআইনি অভিবাসীদের রিফিউজি তকমা দেওয়া যায় না।’ জাতিসংঘের একটি সূত্রের খবর, মায়ানমার সেনা বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ায় সেখান থেকে অন্তত ৪ লক্ষ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে