আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে গণহত্যা চালানোর দায় এখন সম্পূর্ণ গিয়ে চেপেছে তার ঘাড়ে। অং সান সু চি, নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এ নেত্রী আজ চিহ্নিত হচ্ছেন গণহত্যাকারী হিসেবে। আন্তর্জাতিক আদালতেও তাকে দোষী হিসেবে সাবস্ত করা হচ্ছে।
তবে সেনা নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমারকে তিনি আসলে কতোটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন? সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি আসরে তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তিনি চালিত হন সেনা ক্ষমতায় এবং আন্তর্জাতিক চাপে।
সম্প্রতি তিনিও নিজের অপরাগত স্বীকার করে বলেছেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে খুবই ভঙ্গর একটি দেশ। তা ছাড়া বেকারত্ব ও অবকঠামো নিয়ে আমাদের নানা সমস্যা আছে। কোনো নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠির ওপর আমরা সহজে মনোযোগ দিতে পারবো না।
তার দায়সারা এ মন্তব্যও ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাকে অসহায়ও লাগছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ না দিয়েও তিনি সমালোচনার পাত্রী হয়েছেন। তার জনপ্রিয়তা খুব দ্রুত কমছে। অনেকে তার নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নিতে আবেদন করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে উঠছে নিন্দার ঝড়।
সেনা সমর্থিত একটি সরকারে থেকে তিনি সত্যিই কী করতে পারেন? বিশেষত মিয়ানমার অস্ত্র ও অন্যান্য নিষিদ্ধ দ্রব্য পাচার ও ব্যবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। পাশবর্তী দেশ ভারত ও চীনের ব্যবসায়িক সার্থও তাকে দেখতে হবে। সবকিছু সামলে মিয়ানমার সুচির নিয়ন্ত্রণে বাইরে। সিএনএএন
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস