আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সামরিক শক্তিতে বিশ্বে মিয়ানমারের অবস্থান ৩১। রাশিয়া, চীন, ইসরায়েল, ইউক্রেন, ভারত, বেলারুশ, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ডসহ আরও কয়েকটি দেশ থেকে অস্ত্র কেনে মিয়ানমার।
দেশটির সেনাবাহিনীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ। যার মধ্যে ৪ লাখ ৬ হাজার নিয়মিত ও ১ লাখ ১০ হাজার রিজার্ভ সেনা সদস্য রয়েছে। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং প্যারা মিলিটারি শক্তির সংখ্যা আরো তিন লাখ।
বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান রয়েছে ২৪৯টি। অত্যাধুনিক ট্যাংক ৮৮৬টি এবং রয়েছে ১৩৫৮টি বিভিন্ন ধরনের সাঁজোয়া যান, ৯৯৬টি কামান ও আকাশ প্রতিরক্ষায় অন্তত ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের যান, ৯টি অ্যাটাক হেলিকপ্টারসহ ৮৬ হেলিকপ্টার, ৪ হাজার ২১২টি বিভিন্ন ধরনের মিসাইল, ৩৯২টি গান সিস্টেম, ১২০০ অ্যান্টি ট্যাংক অস্ত্র। নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৭টি নেভাল ফ্রিগেড ও ৪০টি পেট্রল ক্রাফটসহ ১৫৫টি অত্যাধুনিক ও সুসজ্জিত যুদ্ধজাহাজ।
মিয়ানমার সবচেয়ে বেশি বিমান কিনেছে চীন থেকে ১২০টি, রাশিয়া থেকে ৬৪টি এবং পোল্যান্ড থেকে ৩৫টি। মিয়ানমারের কাছে সবচেয়ে বেশি মিসাইল বিক্রি করেছে রাশিয়া (২৯৭১টি), চীন (১০২৯টি) ও বেলারুশ (১০২টি)। রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর ধর্ষণ ও গণহত্যাসহ নানা ধরনের বর্বরতা সত্ত্বেও মিয়ানমার সরকারের কাছে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ বিক্রি বন্ধ করতে অস্বীকার করেছে ইসরাইল।
মিয়ানমারের কাছে নৌবাহিনীর রণতরী বিক্রি করেছে চীন (২১টি), ভারত (৩টি) ও প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়া (৩টি)। বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, কামান (আর্টিলারি) বিক্রি করেছে চীন (১২৫টি), সার্বিয়া (১২০টি) ও রাশিয়া (১০০টি)। অস্ত্রবাহী গাড়ি-ট্যাংক বিক্রি করেছে চীন (৬৯৬টি), ইসরায়েল (১২০টি) ও ইউক্রেন (৫০টি)।
সূত্র : আল জাজিরা, গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ডটকম ও স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস