ধীমান রায়, কাটোয়া: চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গেলেন ড্রাইভার। কাটোয়া এবং দাঁইহাট স্টেশনের মাঝে এই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। ট্রেনের গার্ডের তৎপরতায় চালককে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। মাথায় এবং পিঠে আঘাত লেগেছে চালক আই হালদারের। চিকিৎসকদের ধারণা, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে এই বিপত্তি।
সকাল তখন ১১টা। আপ হাওড়া-কাটোয়া লোকাল সেই সময় দাঁইহাট স্টেশন ছেড়ে কিছুটা এগিয়েছে। আচমকা ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ায় অবাক হয়ে যান যাত্রীরা। ট্রেনের গার্ডও প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারেননি কেন এমন হল? গার্ড বি রাম সঙ্গে সঙ্গে ওয়াকিটকিতে চালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। উলটো দিক থেকে কোনও জবাব না মেলায় তিনি বিষয়টি ধরতে পারেননি। এর পর লাইনের দিকে তিনি দেখেন কয়েকজনের জটলা। ট্রেন থেকে নেমে তিনি দেখতে পান লাইনের পাশে চালক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। শরীর সংজ্ঞাহীন। ওই অবস্থা দেখে দ্রুত কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেন ট্রেনের গার্ড। দাঁইহাট স্টেশন ছাড়ার পর যেখানে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে তার পাশে রয়েছে নসিপুর গ্রাম। ওই এলাকার বাসিন্দারা আহত ড্রাইভার বা মোটরম্যানকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি রেলগেটে নিয়ে যান। সেখান থেকে একটি টোটো করে চালককে নিয়ে যাওয়া হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান চালকের মাথা এবং কাঁধে আঘাত লেগেছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই মোটরম্যান ট্রেন থেকে পড়ে যান বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন ডাক্তাররা।
আহত চালক আই হালদারের বয়স ৪৫। তাঁর বাড়ি ব্যান্ডেলে। এদিন হাওড়া থেকে ট্রেন নিয়ে তিনি কাটোয়ায় যাচ্ছিলেন। চালক পরে যাওয়ার পরও দুর্ঘটনা কীভাবে এড়ানো গেল। এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন ট্রেনের গার্ড। তাঁর বক্তব্য, ড্রাইভারের কোচে একটি হ্যান্ডেল থাকে। যা চালকের স্পর্শে কাজ করে। কোনও কারণে হ্যান্ডেল থেকে হাত সরে গেলে ট্রেন অটোমেটিকভাবে দাঁড়িয়ে পড়বে। এই ঘটনার জেরে ট্রেনটি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল। দুর্ঘটনা এড়াতে ওই লাইনের পিছনে থাকা ট্রেনগুলিকে বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়।-সংবাদ প্রতিদিন
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস