বুধবার, ০৪ অক্টোবর, ২০১৭, ০৭:০১:৫৭

যে কারণে তাজমহল ভেঙে ফেলতে বললেন আজম খান

যে কারণে তাজমহল ভেঙে ফেলতে বললেন আজম খান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তিনি মুখ খুললেই বিতর্ক অবধারিত। এর জন্য বহুবার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে আজম খানকে। মিলেছে হুঁশিয়ারি। তবুও মন্তব্য করা থেকে কখনও নিজেকে বিরত রাখেননি সমাজবাদী পার্টির নেতা। কিন্তু এবার উত্তরপ্রদেশ সরকারকে সমর্থন করতে রাজি আজম খান। শর্ত একটাই, ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহল। কিন্তু কেন এমন মন্তব্য বর্ষীয়ান নেতার? বিজেপি শাসিত সরকারকে কেনই বা সমর্থন করতে রাজি তিনি?

আসলে সমর্থন নয় বরং ব্যঙ্গ করেই যোগী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা। তাজমহল বিতর্কে এভাবেই মুখ খুলেছেন তিনি। কিছুদিন আগেই যোগী সরকারের ছয় মাস পূর্তি উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশের পর্যটন দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বুকলেট প্রকাশ করা হয়। যাতে রাজ্যের সমস্ত দর্শনীয় স্থান তুলে ধরা হয়। কিন্তু দেখা যায়, দর্শনীয় এই স্থানের তালিকায় ঠাঁই পায়নি বিশ্ব মানচিত্রে ভারতের অন্যতম ঐতিহ্য তাজমহল।

কেন তা রাখা হয়নি? শোনা গিয়েছিল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন তাজমহল ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক নয়। তাই তাঁর জমানায় উত্তরপ্রদেশের দ্রষ্টব্য স্থানের তালিকা থেকেও বাদ পড়ে এই স্মৃতিসৌধ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট করেন, ‘সূর্যের দিকে লণ্ঠন দেখালে, কখনও সূর্যের গরিমা কমে যায় না। সেইজন্যই কবি লিখে গিয়েছেন, আন্ধের নগরি মে চৌপট রাজা।’

এই বিতর্কেই এবার মুখ খুললেন আজম খান। যোগী সরকারকে ব্যঙ্গ করেই তাজমহল গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন। সেই সঙ্গে এও জানান, তাজমহল, লালকেল্লা, সংসদ ভবন, কুতুব মিনারের মতো ঐতিহাসিক স্থানগুলি সবই দাসত্বের প্রতীক। এভাবেই দেশের সমস্ত ঐতিহ্যকে একসারিতে রেখে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে বিঁধলেন তিনি। বিরোধিতার সুরও চড়ালেন।-সংবাদ প্রতিদিন
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে