আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান গুরুত্বপূর্ণ সফরে ইরানের তেহরানে পৌঁছেছেন। কুর্দিস্তানে অনুষ্ঠিত গণভোট নিয়ে ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত সিরিয়া বিষয়ক ত্রিদেশীয় আলোচনা প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করবেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানির সাথেও সাক্ষাৎ করবেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চল পহেলা নভেম্বরে প্রেসিডেন্সিয়াল এবং পার্লামেন্টারি নির্বাচসনর ঘোষণা দেন। অথচ ইতোপূর্বে উত্তর ইরাকে কুর্দিস্তানের স্বাধীনতার ওপর গণভোটের পর সেখানকার কুর্দিরা উল্লাস করলেও একে 'বিশ্বাসঘাতকতা' বলে আখ্যায়িত করে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, কুর্দিস্তান স্বাধীনতার পথে এগিয়ে গেলে ওই অঞ্চলে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার হুমকি তৈরি হবে। এ পথ নিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তুরস্ক যদি সীমান্ত দিয়ে পণ্যের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাহলে কুর্দিদের না খেয়ে থাকতে হবে।
ইরাকি কুর্দিস্তানের ওই গণভোটে ৭২ শতাংশ ভোট পড়েছে।তবে ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকার, তুরস্ক ও ইরান এ গণভোটের বিরোধিতা করেছিল। তুরস্কের ভয় তাদের সীমান্তের ওপারে একটি স্বাধীন কুর্দি রাষ্ট্র কায়েম হলে তাদের নিজেদের ভুখন্ডে যে সংখ্যালঘু কুর্দিরা থাকে তাদের ভেতরে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব চাগিয়ে উঠতে পারে।
কুর্দিস্তান ইরাক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সেখানে আমেরিকা ঘাঁটি গাড়বে এবং এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের অত্যন্ত স্পর্শকাতর ওই এলাকায় অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে। তুরস্কের নিজের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থেই ইরানের সহযোগিতায় ইরাক ও সিরিয়ার খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাওয়া ঠেকানো দরকার।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস