বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০১৭, ০১:১৩:১৭

অল্পের জন্য আটকে গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাকাতির ঘটনা!

অল্পের জন্য আটকে গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাকাতির ঘটনা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সফল হলে এটাই নাকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাকাতি হতে পারত।  গ্রামবাংলায় ছোটখাটো সিঁধ কেটে ঘটি-বাটি চুরি হয় হামেশাই। বাড়ির ছাগল, মুরগি বড় জোর পুঁটলিতে বাঁধা কন্যাদায়গ্রস্ত গয়নাগাটি চুরি হতে দেখা যায়।  

সাধারণত এসব কাণ্ড ছিঁচকে চোররাই ঘটিয়ে থাকে। কিন্তু ইট-কাঠ-পাথরের শহরে সিঁধ কাটা সম্ভব নয়। তা বলে কী ঢেঁকি ধান ভাঙবে না! বাস্তবে হলও তাই, কংক্রিটে কেরামতি দেখিয়ে সাও পাওলোর একদল ডাকাত বিশাল সুড়ঙ্গ বানিয়ে ব্যাঙ্ক ডাকাতির পরিকল্পনা করে ফেলল। কিন্তু তীরে এসে ডুবল তরী। ডাকাতি করে সিদ্ধকাম হতে পারল না তারা। বরং ধরা পড়ে গেল 'লগ্নিকারী' ডাকাতেরা।

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ওই চোরদেরকে ধরে পুলিশ যত না উচ্ছ্বসিত, তার থেকে বেশি অবাক হয়েছে তাদের কর্মযজ্ঞ দেখে। কারণ, এই মেগা ডাকাতি সফল হলে ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ২৪ কোটি ইউরো হাতাতে পারত ওই ডাকাত দল।  কিন্তু শেষ অবধি বিধি বাম।

দক্ষিণ সাও পাওলো ব্রাজিলের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসাবে পরিচিত। এখানেই রয়েছে দেশের সব বড় বড় ব্যাঙ্কের প্রধান অফিস। ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক বস্কো দ্য ব্রাজিল (ব্যাঙ্ক অব ব্রাজিল)-এর অফিসও এখানেই। আর সেই ব্যাঙ্কের ভাণ্ডার লুঠ করার পরিকল্পনা করে ১৬ জনের একটি ডাকাত গ্যাং।

একটি ভাড়া বাড়ি থেকে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু করে তারা। ব্যাঙ্ক পর্যন্ত ১৬৪০ ফুট লম্বা সুড়ঙ্গ তৈরিও করে ফেলে তারা। অর্থাৎ প্রায় বিবাদি বাগ টেলিফোন ভবন থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যে দূরত্ব, প্রায় ততটাই সুড়ঙ্গ পথ বানিয়ে ফেলেন তারা।

তবে কাঁচা হাতের কাজ ভাবলে ভুল হবে! কারণ, লোহার রড, কাঠ দিয়ে বেশ পোক্তভাবেই তৈরি হয়েছে পাতালপথ। শুধু যে পোক্ত নির্মাণ তাই নয়, এই গুপ্ত পথে রয়েছে পাখার হাওয়ার সুবন্দোবস্ত।

ব্রাজিলের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবো ডট কম জানাচ্ছে, সুড়ঙ্গের ভিতর পূর্ণবয়স্ক একটি মানুষ অনায়াসে দাঁড়াতে পারবে।  সাও পাওলোর পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে, এই সুড়ঙ্গ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৯,৫৮,৮০৮ ইউরো।

গ্যাংয়ের প্রত্যেক সদস্য ৪৭,৯৪০ ইউরো বিনিয়োগ করেছে। ১৬ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  পাশাপাশি হাঁফ ছেড়ে তারা জানিয়েছেন, ধরা না পড়লে এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাকাতি হতে পারত! -জিনিউজ
এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে