বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০১৭, ০৫:১৯:৩৩

মিয়ানমারকে সাবমেরিন ধ্বংসের মিসাইল দিচ্ছে ভারত!

মিয়ানমারকে সাবমেরিন ধ্বংসের মিসাইল দিচ্ছে ভারত!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে দু’টি সাবমেরিন সংযুক্ত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই সাবমেরিন বিধ্বংসী টর্পেডো ক্রয়ের অর্ডার দিয়েছিল মিয়ানমার। এমনটাই জানিয়েছে ভারতের সংবাদ মাধ্যম কলকাতা ২৪-এর এক প্রতিবেদনে।

ভারত থেকে প্রায় ৩৮ মিলিয়ন ডলার দিয়ে এই শাইনা টর্পেডো সংগ্রহ করছে মিয়ানমার। টর্পেডোটি ডিজাইন করেছে ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবং ভারত ডাইনামিক্স লিমিটেড নামের একটি ডিফেন্স ম্যানুফাকচারিং প্রতিষ্ঠান এটি তৈরি করছে।  

এই টর্পেডো শক্তিশালী বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। যদিও এর আগে সাবমেরিন খুঁজে বের করার জন্য মিয়ানমারের কাছে ভারত সোনার এবং রাডার বিক্রি করেছে।

ভারতের এক সামরিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ‘এটি সাবমেরিন ধ্বংসের কাজে ব্যবহার করা হয়।’ তবে তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার যে প্রযুক্তির টর্পেডো সংগ্রহ করছে বাংলাদেশের তার থেকে উন্নত প্রযুক্তির টর্পেডো আছে।’

শাইনা টর্পেডো সাধারণত সাত কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম বলে তিনি জানান। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে সাবমেরিন সংযুক্তির ফলে নৌবাহিনীর সক্ষমতার দিক থেকে মিয়ানমারের থেকে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে বাংলাদেশ।  

কারণ মিয়ানমারের এই সাবমেরিন নেই। এমনকি, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের সাবমেরিনই নেই। তবে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইরান ও ইন্দোনেশিয়ার সাবমেরিন আছে।

গত বছর ২২ ডিসেম্বর ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামে বাংলাদেশের প্রথম দুই সাবমেরিন চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়। এর আগে গত ১৪ নভেম্বর এই সাবমেরিনগুলো বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।  

গত ১২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের নির্মিত দু’টি সাবমেরিন ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’র কমিশনিং করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রাম ঈশা খাঁ ঘাঁটির জেটিতে এই অনুষ্ঠান হয়। চীন থেকে কেনা ০৩৫ জি ক্লাসের এই দুটি সাবমেরিনে থাকছে নানা সুবিধা। শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনে আক্রমণ করার সক্ষমতা রয়েছে টর্পেডো ও মাইন দিয়ে সু-সজ্জিত এই সাবমেরিনগুলোর।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে