শনিবার, ০৭ অক্টোবর, ২০১৭, ০২:১২:২৭

চীন সীমান্তে ভারতের যুদ্ধ-মহড়া

চীন সীমান্তে ভারতের যুদ্ধ-মহড়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পানাগড় থেকে চীন সীমান্তে পৌঁছাতে এক ঘণ্টাও লাগে না সুপার হারকিউলিসের। এই সময়ের মধ্যেই প্রায় আড়াই শ' সেনা সদস্য নিয়ে চীনের সীমান্তে পৌঁছে যেতে পারে এই অত্যাধুনিক বিমান। আবার এই ১৩০ জে সুপার হারকিউলিস বিমান থেকেই সহজে শত্রুশিবিরের কাছাকাছি ঝাঁপিয়ে পড়ে আক্রমণ হানতে পারে প্যারাট্রুপার অথবা ভারতীয় বিমানবাহিনীর ‘গরুড়’ কমান্ডোরা। তাই বিমানবাহিনীর কাছে এখন পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে ‘এয়ারফোর্স স্টেশন অর্জন সিং’য়ের গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতীয় মিডিয়ায় শনিবার এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।

শুক্রবার পানাগড়ে এয়ার ভাইস মার্শাল বিক্রম সিং জানান, পানাগড় বিমানবাহিনীর ঘাঁটির পরিকাঠামো এখন এতটাই উন্নত যে, এই বিমানঘাঁটি থেকে শত্রুশিবিরের দিকে উড়ে যেতে পারে যেকোনো রকমের ‘ফাইটার’ বা যুদ্ধবিমান। চীনের সীমান্ত থেকে তুলনামূলকভাবে কম অথচ নিরাপদ দূরত্বের কথা মাথায় রেখে পানাগড়ে তৈরি হয়েছে ‘সুপার হারকিউলিস’ হাব। এখন এই ‘হাব’-এ রয়েছে ছয়টি অত্যাধুনিক ১৩০জে সুপার হারকিউলিস বিমান। আরো দুটি বিমান নিয়ে আসা হতে পারে এই ‘হাব’-এ। এবার থেকে ‘অপারেশনাল বেস’ হিসেবে কাজ শুরু করল পানাগড়ের বিমানবাহিনী ঘাঁটি। তাই দিনে ও রাতে সারাক্ষণই মহড়া দিচ্ছে সুপার হারকিউলিস।

ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়, এই পানাগড়েই রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পার্বত্য বাহিনী। মহড়ার অংশ হিসাবে যথাসম্ভব কম সময়ের মধ্যে সুপার হারকিউলিস সেনাদের উড়িয়ে নিয়ে চলেছে চীনের সীমান্তে। কখনো বা এই বিমান যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের হাসিমারা বা বাগডোগরায়। আবার কখনো হারকিউলিস সেনাদের নিয়ে যাচ্ছে অরুণাচলের মেচুকা বা তাংওয়াং অথবা আসামের ছাবুয়ায়। আবার সীমান্তবর্তী এলাকায় চলছে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর মহড়াও।

কারণ শত্রুপক্ষের শিবিরের কাছে সেনা ও প্যারাট্রুপারদের নামিয়ে দিয়েই অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে যেতে পারে এই বিমান। আবার ‘অপারেশন’-এর শেষে সুপার হারকিউলিস এসে কম সময়ের মধ্যে তুলে নিয়ে যেতে সক্ষম পুরো বাহিনীকে। পানাগড়ের বিমানবাহিনীর ঘাঁটির রানওয়ের পাশে মহড়া দিচ্ছে সেনাবাহিনীর এল ৭০ বিমানধ্বংসী কামান। এই কামানের র‌্যাডার জানিয়ে দিচ্ছে কোনদিকে রয়েছে বিমান। সেইমতো স্বয়ংক্রিয়ভাবে কামানের নল ঘুরে চলেছে আকাশ লক্ষ্য করে।

সুপার হারকিউলিস বিমানে রয়েছে ইনফ্রারেড ক্যামেরা। অত্যন্ত কম শব্দ করে চলে এই বিমান। ওঠানামা করতেও লাগে কম জায়গা। এই বিমান বহন করতে পারে সেনা জিপ বা ট্যাঙ্ক। প্রয়োজন হলে মাঝ আকাশেই তেল ভরতে পারে। টানা বারো ঘণ্টা ধরে উড়তে পারে এই বিমান। তাই গভীর রাতেও শুরু হয়েছে যুদ্ধের মহড়া। রাতের অন্ধকার ভেদ করে পানাগড়ের বিমানবাহিনী ঘাঁটি থেকে উড়ে যাচ্ছে সুপার হারকিউলিস।

উল্লেখ্য, পানাগড়ে অত্যাধুনিক রাফায়েল যুদ্ধবিমান মোতায়েনের কথাও চলছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে