আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিধবা বিবাহ নিয়ে এমন উদ্যোগ এই প্রথম বার । কোনও বিধবা মহিলাকে বিয়ে করলেই মিলবে ২ লক্ষ টাকা। বিধবা বিবাহকে উত্সাহ দেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রকল্প চালু করছে মধ্যপ্রদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ দফতর। তবে এক্ষেত্রে একটি শর্ত রয়েছে। কনের বয়স হতে হবে ৪৫ বছরের কম।
গত জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বিধবা বিবাহে উত্সাহ দিতে নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দেয়। তবে কেন্দ্রের আগেই মধ্যপ্রদেশ সরকার হাতে কলমে এই কাজ করে দেখিয়ে দিল। সংশ্লিষ্ট তহবিলে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকার।
ঘোষণা অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে কোনও বিধবা মহিলাকে বিয়ে করলেই পাত্রর হাতে ২ লক্ষ টাকা তুলে দেবে সরকার। তবে এ প্রস্তাব রাজ্যের অর্থ দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য। তারপর ক্যাবিনেট বৈঠকে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়লেই তিন মাসের মধ্যে এই প্রকল্প চালু হবে।
এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর বছরে রাজ্যের প্রায় ১০০০ মহিলার বিয়ে হবে বলে আশাবাদী সরকার। তবে এর যাতে অপব্যবহার না হয়, সেদিকেও কড়া নজর রাখতে মরিয়া তারা। জানা গিয়েছে, দুর্নীতি রুখতে নিয়ম করা হয়েছে, যিনি বিয়ে করবেন, সেটিই তাঁর প্রথম বিয়ে হতে হবে।
জেলার আধিকারিকের অফিসে গিয়ে বিয়ে নথিভুক্ত করতে হবে। টাকা পেতে গেলে গ্রাম পঞ্চায়েত বা কোনও স্থানীয় সংস্থার দেওয়া প্রমাণপত্র গ্রাহ্য হবে না। মনে রাখতে হবে, বিধবা বিবাহের প্রথম উদ্যোগকর্তা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও একটা পর্যায়ে এসে নিজব্যয়ে বিধবা বিবাহের উদ্যোগ নিতে শুরু করেন।
কিন্তু উনিশ শতকের বাংলায় প্রচুর ঠগ বিবাহেচ্ছু হিসেবে অবতীর্ণ হয়ে বরপণ দাবি করতে তাকে। বিদ্যাসাগর ঋণ করে অনেককে সেই অর্থ প্রদানও করেন। কিন্তু এক সময়ে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারেন। এবং প্রবল মনঃকষ্টে ভুগতে থাকেন। দিন বদলেছে। কিন্তু মানুষের মানসিকতা কি বদলেছে। বিধবা বিবাহ আজও এদেশে সেবাবে সচল নয়। মধ্যপ্রদেশ সরকারের উদ্দেশ্য সাধু। কিন্তু বিদ্যাসাগরের উদাহরণও মনে রাখা উচিত। --এবেলা
এমটিনিউজ২৪/এম.জে