আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শরীর লুটের অভিযোগ উঠেছে সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
টুইটারে প্রাক্তন সিপিএম নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি পোস্ট করে এই বিতর্ক উসকে দিয়েছেন নম্রতা দত্ত নামে এক তরুণী। তিনি সবার সাহায্য প্রার্থনা করে বহিষ্কৃত সিপিএম সাংসদের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন। যদিও এই প্রসঙ্গে ঋতব্রতের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দলবিরোধী কাজের জন্য রাজ্যসভা সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করে সিপিএম। দলের রাজ্য কমিটির সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয় সিপিএমের পলিটব্যুরো। তারপর বিজেপি নেতা ও মুকুল রায়ের সঙ্গে আলোচনা করায় ফের সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন তিনি।
এরই মধ্যে টুইটারে বোমা ফাটালেন নম্রতা দত্ত নামে এক তরুণী। তাঁর অভিযোগ, চলতি বছর ১৫ অক্টোবর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। দিল্লির ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। শুধু তাই নয় নম্রতার বালুরঘাটের বাড়িতেও নাকি ঋতব্রত গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
এই প্রসঙ্গে নম্রতা বলেন, বালুরঘাটে গিয়ে আমার মাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন ঋতব্রত। তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করবেন। নম্রতা জানান, আমি বাংলা ছেড়ে নেদারল্যান্ডসে চলে যাই। সেখানে গত ডিসেম্বরে গিয়েছিলেন ঋতব্রত। সেই খরচ আমি দিয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, সেখানে দামি একটি ঘড়ি কিনে দিই। সেই ঘড়িটি নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। নম্রতার দাবি, তাঁর সঙ্গে ১৯বার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন ওই বিতর্কিত কমিউনিস্ট নেতা।
নম্রতার অভিযোগ, দিন কয়েক আগে তাঁর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে আড়াই লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করা হয়। ঋতব্রতের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাঠানো হয়েছে। মুখ বন্ধ রেখে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষতিপূরণ হিসাবে ওই টাকা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন নম্রতা।
এই প্রসঙ্গে ওই তরুণী বলেন, দিন কয়েক আগে দূর্বা সেন নামে এক মহিলা ফোন করেন। তিনি ঋতব্রতের বান্ধবী বলে পরিচয় দেন। বারবার হুমকি ফোন আসতে থাকে। এখন আমি ভয় পাচ্ছি বলে মন্তব্য করেন নম্রতা।
টুইটারে সেই সব কথা ও ঋতব্রতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কয়েকটি ছবি প্রকাশ্যে এনে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করা হলেও বারবার ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু, তাঁর দু’টি ফোনই বন্ধ থাকায় কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এপি/ডিসি