আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তান সহ ভারতের প্রতিবেশি দেশগুলিকে টাকা দিচ্ছে চীন। তালিকায় আছে মায়ানমার, মালদ্বীপ ও নেপালের মতো দেশও। ভারতকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলার মতো পরিকল্পনা করছে চীন।
এই নিয়ে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে বেজিং। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গদার বন্দর ও শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে হাম্বানটোটায় কাজ শুরু করে দিয়েছে চীন।
প্রজেক্টটি চীন শুরু করেছে এই সব দেশকে প্রচুর টাকা লোন দিয়ে। দেশের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য চীন এই দেশগুলিতে টাকা দিচ্ছে বলে খবর। এর পরিবর্তে এই দেশগুলি চীনকে নিজেদের জমি ব্যবহার করতে দিচ্ছে।
চীনের মনোভাব এক্ষেত্রে স্পষ্ট। ভারত মহাসাগরে তারা প্রতিপত্তি জমাতে চাইছে। এক্ষেত্রে অর্থনীতিকে তারা হাতিয়ার করেছে। যদি চীনের এই পরিকল্পনা কার্যকর হয়, তবে শুধু চীন বা পাকিস্তানের দিক থেকে নয়। সব দিক থেকে শত্রু দিয়ে ঘিরে থাকবে ভারত।
এক্ষেত্রে নয়াদিল্লিকে ভেবেচিন্তে পা ফেলতে হবে। চীন যে পথে ভারতকে ঘিরে রাখার পরিকল্পনা করেছে, তাকে টক্কর দিতে পারবে না নয়াদিল্লি। কারণ ভারতের হাতে লাক্সারি করার মতো টাকা নেই। ভারত যেদিকে শক্তিশালী, সেদিক থেকেই তাকে লড়াই করতে হবে।
নেপাল ও বাংলাদেশের কাছে ভারত শিক্ষার পিঠস্থান। ওইসব দেশ থেকে অনেকে ভারতে পড়তে আসে। এখন ভারত যদি শিক্ষা ও পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারে, তাহলে যুদ্ধ জয়ের একটা সম্ভাবনা থাকে।
দেশের ছেলেমেয়েরা যেই দেশে পড়তে যায়, সেই দেশের সঙ্গে কে ঝামেলায় জড়াতে চায়? তবে তার জন্য উচ্চশিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তির দিক থেকে ভারতকে উন্নত হতে হবে।
উপায় আরও একটা আছে। পর্যটন ক্ষেত্রে ভারতের বাজার বেশ বড়। নেপাল, ভূটান, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, মায়ানমারের মতো দেশগুলোর পর্যটনের জন্য ভারত সীমান্ত খুলে দিতে পারে। তাহলে ভারতের সঙ্গে এই সব দেশগুলির সম্পর্ক ভালো হবে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির জন্য প্রযুক্তি আরও সস্তা করে দেওয়া উচিত ভারতের। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির জন্য ভারত রুপি-স্ট্রাকচার লোনের বন্দোবস্ত করতে পারে।
সৌরশক্তিকেও এক্ষেত্রে হাতিয়ার করতে পারে ভারত। সোলার এনার্জি প্রোগ্রামে ভারত অনেক এগিয়ে। সেটিই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করলে বেজিংকে অনেকটা টেক্কা দিতে পারবে নয়াদিল্লি।
এমটিনিউজ/এসএস