আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে কাশ্মীরে জিহাদই ছিল উদ্দেশ্য। সন্ত্রাসবাদে হাত পাকিয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু বাধ সাধল প্রেম। গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করেই ভারতীয় সেনার জালে পড়ে যায় জয়েশ-ই-মোহাম্মদ জঙ্গি খালিদ। সোমবার উপত্যকায় খতম করা হয় ওই জঙ্গিকে।
২০ বছরের সেই প্রেমিকা জানায়, ‘আমিই ওকে মারতে চেয়েছিলাম। পুলিশ অফিসারকে এই কাশ্মীরি যুবতীই বলেছিলেন, আমি আপনাদের ধরিয়ে দেব। বাকিটা আপনারা বুঝে নেবেন। আর তারপরই সোমবার এনকাউন্টারে সেনা অপারেশনে খতম করা হয় ওই জয়েশ জঙ্গিকে। কিন্তু কেন এভাবে খালিদের মৃত্যু চাইল এই যুবতী?
বছর খানেক আগের ঘটনা। হঠাৎ একদিন ওই কাশ্মীরি যুবতী বুঝতে পারেন যে তিনি গর্ভবতী। আনন্দের সঙ্গে সেকথা জানান প্রেমিক খালিদকে। কিন্তু তাঁকে হতাশ করে খালিদ বলে দেয় যে গর্ভের সন্তানকে নিয়ে তার কোনও মাথাব্যাথা নেই। এক আত্মীয়ের সঙ্গে জলন্ধরে গিয়ে গর্ভপাত করাতে বাধ্য হন ওই যুবতী। এক বুক কষ্ট আর ক্ষোভ নিয়ে ফিরে আসেন কাশ্মীরে। নিজের সন্তানকে মেরে ফেলার পাল্টা নিতে হত্যা করতে চান খালিদকে।
গত আট বছর ধরে কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছে খালিদ। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এই সব কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে সে। একাধিক ফিদায়েঁ হামলার সঙ্গেও যুক্ত ছিল খালিদ। উত্তর থেকে দক্ষিণ কাশ্মীরে জঙ্গি সাপ্লাই দিত সে। সোপোর, বারামুলা, হান্দওয়ারা, কুপওয়াড়ায় একের পর এক সন্ত্রাস চালিয়েছে খালিদ। মৃত্যুর আগেও উপত্যকায় অন্তত ৩-৪টি প্রেমিকা ছিল খালিদের।
কিন্তু তার কোনও ধারণ ছিল না যে ইতিমধ্যেই তার প্রাক্তন প্রেমিকা পুলিশের হাতে সব তথ্য তুলে দিয়েছে। সেই গোপন অবস্থানে নিয়ে খালিদকে ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। সোপোরে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে খালিদ পৌঁছতেই ফায়ারিং শুরু করে পুলিশ। চার মিনিটেই খতম হয় ওই কাশ্মীরে জয়েশের মাথা ওই জঙ্গি। তাকে খতম করতে উপস্থিত ছিল সিআরপিএফ, রাষ্ট্রীয় রাইফেলস। তার মৃত্যুতে কাশ্মীরে সন্ত্রাসের একটা অংশের ইতি ঘটল বলেই মনে করা হচ্ছে।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস