আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুর্কি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বন্ধের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন-আঙ্কারার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপক টানাপড়েন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়েব এরদোগান সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত যদি নিজেই তুর্কি নাগরিকদের ভিসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে তার দেশ (তুরস্ক) থেকে তাকে চলে যেতে হবে। আঙ্কারায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে কিছুতেই স্বীকৃতি দেয়া হবে না।
অন্য দিকে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম এ প্রসঙ্গে বলেন, ওয়াশিংটনের ভিসা বন্ধের কারণে তুর্কি নাগরিক এবং মার্কিন নাগরিক একই সাথে ভোগান্তির শিকার হয়েছে। সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের ভিসা কার্যক্রম জটিল করে তুলেছে। তিনি আরো বলেন, তুর্কি নাগরিকদের ভিসা কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত যদি আঙ্কারায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিজেই করে থাকেন তাহলে তাকে অবশ্যই দেশত্যাগ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, তুরস্কের জনগণ কিছুতেই আঙ্কারায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্বীকৃতি দেবে না। বিদেশ সফরের আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমার সাথে সাাৎ করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছি। এরদোগান জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের গোয়েন্দাদের (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) কাজ করার সুযোগ দেয়া কোনো দেশের পে সম্ভব নয়।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস