আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব মোকাবেলায় নতুন আগ্রাসী নীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সাথে ইরানের সাথে সম্পাদিত ছয় জাতি পরমাণু চুক্তি স্থগিত করবেন তিনি। এমনটিই জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বিকেলে হোয়াইট হাউজে এ বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার কথা ট্রাম্পের।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ২০১৫ সালের ওই পরমাণু চুক্তিতে ‘যুক্তরাষ্ট্রের কোনো জাতীয় স্বার্থ নেই’ এমন বক্তব্য আসতে পারে ট্রাম্পের কাছ থেকে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্পের কাছ থেকে এমন ঘোষণা এলেও এতে চুক্তিটি বাতিল হয়ে যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, এর পরও কংগ্রেস দুই মাস সময় পাবে চুক্তি বাতিল করে ইরানের ওপর আবার অবরোধ আরোপ করা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। তারা বলছেন, ট্রাম্প হয়তো এখনই ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করবেন না, তবে তাদের ওপর সীমিত আকারের কিছু নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন। ট্রাম্পের এ ঘোষণায় তার প্রশাসনের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত ডেনিস রস।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও জার্মানির সাথে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিতকরণ বিষয়ে চুক্তিতে সম্মত হয় ইরান। তবে ট্রাম্প শুরু থেকেই তার পূর্বসূরি বারাক ওবামার এই কূটনৈতিক সাফল্যের বিরোধিতা করে আসছেন। তিনি অনেকবারই এটিকে সবচেয়ে ‘খারাপ চুক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। নির্বাচনের আগেও অঙ্গীকার করেছেন নির্বাচিত হলে ইরানের সাথে চুক্তিটি বাতিল করার। এ ছাড়া এ চুক্তির ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকানো যাচ্ছে না বলেও মনে করেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্র দেশও মনে করছে, এ চুক্তির ফলে ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করলেও তাদের ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন ও আঞ্চলিক মিলিশিয়াদের সহযোগিতা বন্ধ করেনি।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস