আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত বছরের ৮ জুলাই হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানিকে হত্যা করে ভারতীয় সেনা। উপত্যকায় আগুন জ্বলে ওঠে। জঙ্গিনেতা বুরহানের মৃত্যুকে হাতিয়ার করে কাশ্মীরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
এমনকি পাকিস্তানও এই বুরহানকে 'পোস্টার বয়' বানিয়ে ভারতের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করে। তবে ভারতীয় সেনার টার্গেট ছিল, শুধু বুরহান ওয়ানি নয়, এক এক করে বুরহানের সব সাঙ্গোপাঙ্গকে খতম করে ফেলা।
রীতিমত ছক কষে একের পর এক জঙ্গিকে ভূস্বর্গ থেকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলাই ছিল লক্ষ্য। আর তাতে রীতিমত সফল সেনাবাহিনী ও কাশ্মীর পুলিশ।
বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর তার যে সমস্ত ছবি ভাইরাল হয়, তার মধ্যে একটি ছবিতে বুরহান সহ ১০ জঙ্গিকে দেখা গিয়েছিল। ২০১৫ সালে ছবিটি তোলা হয় বলে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। আর এই ছবি কপালে ভাঁজ ফেলে সেনা জওয়ানদের।
কারণ ২০১৫ তে ওই ছবি কাশ্মীরের যুবকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। যাতে তারাও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উত্সাহিত হয়। কার্যত ওই ছবি কাশ্মীরের যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে প্রভাব ফেলতে শুরু করে।
তারপর আর থেমে থাকেনি সেনাবাহিনী। বুরহানের আগেই একে একে তিন এদের মধ্যে তিন জঙ্গিকে খতম করে জওয়ানেরা। ২০১৫ তেই মৃত্যু হয় আদিল আহমেদ খান্দে, আফাকুল্লা ভাট ও ওয়াসিম মাল্লার। অনন্তনাগ এনকাউন্টারে পরই গল্পটা হয়ে যায় অন্যরকম।
২০১৬ সালে ৮ জুলাই খতম হয় বুরহান মুজফফর ওয়ানি। ওই বছরেই আত্মসমর্পণ করে তারিক আহমেদ পণ্ডিত নামে আরও এক জঙ্গি। আর ২০১৬ তে বুরহানের সঙ্গেই খতম হয় ইশফাক হামিদ ও নাসির আহমেদ পণ্ডিত।
আর ২০১৭ সালে সবথেকে বড় সাফল্য হল সবজার আহমেদ ভাটকে এনকাউন্টারে মেরে ফেলা। আর শনিবার সকালেই হত্যা করা হয় লস্কর জঙ্গি ওয়াসিম শাহকে। আর এক জঙ্গি অনিসও হত্যা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
ওই জঙ্গিদের মধ্যে একমাত্র বেঁচে আছে সাদ্দাম পাদ্দার। এরা ছাড়াই এবছর সেনার গুলিতে খতম হয়েছে লস্করের শীর্ষনেতা আবু দুজানা, জয়েশের কাশ্মীর চিফ আবু খালিদ। আপাতত সেনাবাহিনীর মাথাব্যাথার কারণ আল আয়েদা চিফ জাকির মুসা। কার্যত 'অপারেশন অল আউটে' অনেকটাই সফল ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এমটিনিউজ/এসএস