আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কলকাতার দমদম বিমানবন্দর থেকে মধ্যমগ্রাম। সেখান থেকে নিমতলা শ্মশান। নিহত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর অমিতাভ মালিকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়া আগের মুহূর্ত পর্যন্তও তার সঙ্গ ছাড়েননি তার স্ত্রী বিউটি।
তিনি যে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না, অমিতাভকে আর কখনও দেখতে পাবেন না। স্বামীর কফিন আঁকড়ে ধরছিলেন। কফিন চাপড়ে চাপড়ে ভাঙাতে চাইছিলেন স্বামীর ঘুম। চিরঘুমের দেশে হারিয়ে যাওয়া স্বামীর শোকে মানসিক ভাবে ক্রমশ ভেঙে পড়তে থাকেন তিনি।
অমিতাভের চাচাশ্বশুর কাঁদতে কাঁদতে জানালেন, মৃত স্বামীর সঙ্গে নিমতলায় পৌঁছে মৃত স্বামীর সঙ্গে সেলফি তুলছিলেন অমিতাভর স্ত্রী। মানসিক ভাবে তিনি তখন বাহ্যজ্ঞানশূন্য।
শ্মশানে দাঁড়িয়ে মেয়ের এই অবস্থা দেখে তখন কান্না সামলাতে ব্যর্থ অমিতাভর শ্বশুরও। তিনি বার বার বলছিলেন জামাইয়ের প্রচণ্ড সাহসিকতার কথা। জানাচ্ছিলেন, দার্জিলিঙে গেলে অশান্তির পরিস্থিতিতে রাস্তায় বেরনোর সময়ে কী ভাবে বার বার তাকে সতর্ক করছিলেন অমিতাভ।
অমিতাভ নেই। তার পরিবার স্মৃতির মধ্যেই খুঁজে চলেছেন তাকে। মানুষ চলে গেলে তার স্মৃতির জলছাপই যে সম্বল। সেটাকে আঁকড়েই বাঁচতে চাইছেন তারা। সূত্র : এবেলা।
এমটিনিউজ/এসএস