মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭, ০৩:৫০:১৯

এক লাখ ৫২ হাজার মানুষের মৃত্যু হবে! কারণটা জানলে চমকে যাবেন

এক লাখ ৫২ হাজার মানুষের মৃত্যু হবে! কারণটা জানলে চমকে যাবেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক লাখ ৫২ হাজার মানুষের মৃত্যু হবে! কারণটা জানলে চমকে যাবেন।  জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে কার্যকরী কিছু করা না হলে আগামী ২১০০ সালের মধ্যে চরম আবহাওয়ায় ইউরোপে প্রতি বছর এক লাখ ৫২ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে।

এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে যে পরিমাণ মানুষের মৃত্যু ঘটবে বলে বলা হয়েছে তা বর্তমান সংখ্যার তুলনায় ৫০ গুণ বেশি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

আবহাওয়াজনিত এই মৃত্যুগুলোর মধ্যে তাপপ্রবাহে ৯৯ শতাংশ মানুষ মারা যাবে বলে প্রতিবেদনেটিতে বলা হয়েছে। ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলগুলো এই পরিস্থিতির সবচেয়ে বড় শিকারে পরিণত হবে। ইউরোপিয়ান কমিশনের জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টারের ওই গবেষণা প্রতিবেদনে যেসব তথ্য প্রকাশ পেয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করতে কিছুই না করা হলে ও চরম আবহাওয়ার জন্য দায়ী বিষয়গুলোর প্রভাব হ্রাস করতে নীতিগুলোর উন্নয়ন করা না গেলে যা ঘটবে বলে বলা হয়েছে তা হল: ১৯৮১ সালে থেকে ২০১০ সালের মধ্যে প্রতি বছর চরম আবহাওয়াজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার থেকে বেড়ে ২০৭১ থেকে ২১০০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ১,৫২,০০০ জনে দাঁড়াবে।

চলতি শতাব্দির শুরুতে যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ইউরোপের প্রতি ২০ জনের মধ্যে একজন ক্ষতিগ্রস্থ হত তা বেড়ে প্রতি তিনজনের মধ্যে দুইজন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শতাব্দির শুরুতে উপকূলীয় বন্যায় প্রতি বছর ছয়জনের মৃত্যুর জায়গায় শতাব্দির শেষ দিকে প্রতি বছর ২৩৩ জন করে মারা যাবে।

গবেষণায় সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে ও আইসল্যান্ডসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশে তাপপ্রবাহ, হঠাত্‍ শৈত্যপ্রবাহ, দাবানল, খরা, নদী ও উপকূলীয় বন্যা এবং ঝড়ের মতো আবহাওয়াজনিত সবচেয়ে মারাত্মক সাতটি প্রভাব বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে।

গবেষক দলটি ১৯৮১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দেশগুলোর প্রাকৃতিক দুর্যোগের রেকর্ডগুলো পরীক্ষা করে জনগণের দুর্যোগ মোকাবিলার সামর্থ্য খতিয়ে দেখেছে। এরপর এই তথ্যগুলো আবহাওয়া পরিবর্তনের অগ্রগতি এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও অভিবাসনের সম্ভাব্য ফলাফলগুলো সঙ্গে একত্র করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। -কলকাতা২৪

এমটিনিউজ২৪/এম.জে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে