আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সালিশি সভায় এক ব্যক্তিকে দিয়ে থুতু ফেলিয়ে তা চাটানোর অভিযোগ উঠলো গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ভারতের নালন্দার বিহার শরিফের ঘটনা।
বুধবার রাতে পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে গিয়েছিলেন মহেশ ঠাকুর নামে এলাকারই এক বৃদ্ধ। কড়া না নেড়ে খোলা দরজা পেয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়েন তিনি। আর এটাই নাকি তার মস্ত বড় অপরাধ!
সে সময় ওই বাড়িতে কোনও পুরুষ ছিলেন না, ছিলেন শুধু মহিলারাই। ফিরে আসার পর ঘটনাটি জেনে প্রচণ্ড চটে যান পঞ্চায়েত প্রধান। মহেশের এত বড় দুঃসাহস যে ওই সময়েই তামাক আনতে যেতে হল? অতএব তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
তড়িঘড়ি সালিশি সভা ডাকলেন পঞ্চায়েত প্রধান। মহেশকেও ডাকা হয়। হাজির ছিলেন গ্রামের মহিলারাও। পুরুষ মানুষ বাড়িতে না থাকা সত্ত্বেও মহেশ পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে গিয়েছিলেন, এই অভিযোগ তুলে প্রথমে তাকে মহিলারা জুতো দিয়ে বেদম পেটায়।
এর পরেও আশ মেটেনি পঞ্চায়েত প্রধানের। মহেশকে মাটিতে থুতু ফেলতে বলেন। তার পর সেই থুতু চাটাতে বাধ্য করা হয় তাকে। মহেশ জানিয়েছেন, তিনি তামাক আনতে ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং সে সময় বাড়িতে যে কোনও পুরুষ ছিলেন না সেটা তিনি জানতেন না।
এই ঘটনার কথা জেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছেছে। জেলা প্রশাসক মহকুমা শাসককে ওই গ্রামে গিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আইন হাতে তুলে নেওয়ার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
বিহারের মন্ত্রী নন্দকিশোর যাদব ঘটনাটি শোনার পর বলেন, "এ ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এমটিনিউজ/এসএস