আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ২০১৫ সালে ইরানের স্বাক্ষরিত জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ অবস্থানে খুশি হতে পারেনি। মিত্রদের এই বিরোধী অবস্থানের কারণেই বিপাকে পড়েছেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে দেওয়া ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরান চুক্তি অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না কিন্তু চুক্তির সুবিধা ভোগ করছে। আগেও আমি অনেকবার বলেছি ইরান চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ও একপাক্ষিক চুক্তি। এই চুক্তির লক্ষ্য কী, শুধু ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জনকে বিলম্বিত করা? যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার কাছে তা অগ্রহণযোগ্য। যে কোনো সময় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের আছে। আমি যা করি সে সম্পর্কে শক্তভাবে বিশ্বাস করি। আমি সুবিধা দিতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
তিনি আরো বলেছেন, আমি আর ইরানের পরমাণু সমঝোতা মানার স্বীকৃতি দিব না। যুক্তরাষ্ট্র চূড়ান্তভাবে পরমাণু সমঝোতা বাতিল করবে। যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য যেন দেশটি পরমাণু অস্ত্র কখনো তৈরি করে ফেলতে না পারে, তা নিশ্চিত করা। ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত না রাখা গেলে এর পরিণতি আরো সহিংস ও সন্ত্রাসের এবং ঝুঁকিপূর্ণ হবে- এমনটি হতে দিতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র। আমরা এমন পথে হাঁটা অব্যাহত রাখব না, যে পথের সম্ভাব্য পরিণতি হচ্ছে আরো বেশি সহিংসতা, আরো বেশি সন্ত্রাস এবং ইরানের পরমাণু অস্ত্র অর্জন। আমরা এমন কোনো পথে চলতে পারি না যা দৃশ্যত আরো সহিংসতা, আরো সন্ত্রাস এবং ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতার অত্যন্ত বাস্তব হুমকিতে পরিণত হতে পারে।’
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস