আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভাইয়ের হাত ধরে পালিয়েছিল যুবতী বিবি। সঙ্গে ছিল মেয়ে। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তবে, তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে ওই ব্যক্তি দ্বারস্থ হন পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আদালতের।
বিচারক এই ঘটনায় পুলিশের কাছ থেকে তদন্তের রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। গতকাল কলকাতার মহেশতলা এলাকা থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে, তার মেয়েকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আলম মণ্ডল (নাম পরিবর্তিত)। পেশায় চিকিৎসক। তার অভিযোগ, ভাই সোহেলের (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে পালিয়েছিলেন বিবি শাহিদা (নাম পরিবর্তিত)। সঙ্গে ছিল চার বছরের মেয়ে। ছিল বোনও।
আলম বলেন, “২০০৮ সালে শাহিদার সঙ্গে বিয়ে হয়। তারপর থেকে ঠিকঠাক চলছিল। আমাদের এক মেয়েও হয়।” সমস্যার সূত্রপাত ২০১৪ সাল থেকে।
সেসময় হাসিনুর নামে তারই এক কমপাউন্ডারের সঙ্গে পালিয়ে যান শাহিদা। প্রায় ৬ মাস পর ফিরে আসেন। এরপর ঠিকঠাক চলছিল। মেয়েও বড় হচ্ছিল। তালে তালে দেওরের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে উঠছিল শাহিদার। তা অবশ্য বুঝতে পারেননি আলম।
আগস্ট মাসে ভাই সোহেলের সঙ্গে অপ্রীতিকর অবস্থায় শাহিদাকে দেখে পেলেন আলম। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় সোহেলকে। কিন্তু, শাহিদা-সোহেলের সম্পর্কে একটুও চিড় ধরেনি। দু’জনে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর চার বছরের মেয়েকে নিয়ে সোহেলের সঙ্গে পালান শাহিদা।
সেসময় চেম্বারে ছিলেন আলম। তিনি ফিরে দেখেন স্ত্রী, মেয়ে ও নাবালিকা বোন বাড়ি নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের হদিশ মেলেনি। ঘটনায় সন্দেহ গিয়ে পড়ে ভাইয়ের উপর। ভাইয়ের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন আলম।
কিন্তু, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। রিপোর্ট চেয়ে পাঠান বিচারক। নড়েচড়ে বসে পুলিশ। গতকাল উদ্ধার হন শাহিদা। উদ্ধার হয় নাবালিকা বোনও। তবে, আলমের মেয়ে এখনও উদ্ধার হয়নি। তার খোঁজে তদন্ত চলছে।
এমটিনিউজ/এসএস