মিয়ানমারে বিজয়ের পথে এনএলডিপি
ঢাকা : মিয়ানমারে গত ২৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক উপায়ে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এখন ভোট গণনা চলছে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলছেন নির্বাচন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
বিরোধী রাজনৈতিক দল অং সাং সুচির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির সমর্থকরা প্রত্যাশা করছেন তারাই বেশি ভোট পাবেন। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে বিজয় অর্জন করার পথে তাদের সামনে রয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ।
নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করার কথা রয়েছে আজ স্থানীয় সময় সকাল নয়টায়।
তবে তার আগেই ইয়াগুনে দলিয় অফিসে রাতে ভীর জমায়েত হতে থাকে এনএলডিপির নেতা কর্মীর।
ভোট গণনা যেহেতু চলছে তাই দলের একজন কর্মকর্তা লিখিত একটা বার্তা পরে সবাযইকে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা অবধি শান্ত ভাবে অপেক্ষা করার আহভান জানান।
১৯৯০ সালের পর এই প্রথম মুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভিত্তিতে নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ ছিল ব্যাপক। পর্যবেক্ষকরা বলছেন ৮০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি ছিল ভোট কেন্দ্র। একজন ভোটার বলছেন "এখন যা হচ্ছে দেশে সেটা নতুন নেতা এসে পরিবর্তন করে দেবেন। আমি মনে করি যে সরকার গঠন করবেন তিনি আমাদের জন্য সর্বোচ্চ ভাল ব্যবস্থা করবেন"।
যদিও এনএলডিপি প্রত্যাশা করছে তাদের দল জয়ী হবে কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে জয় পাওয়াটা কতটা নিশ্চিত হবে সে বিষয়ে এখনি মত দিচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
এনএলডিপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ৬৭ শতাংশ আসনে জয়ী হতে হবে। কারণ পার্লামেন্টের এক চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত। আর বর্তমান ক্ষমতাসীন ও এনএলডিপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল ইউএসডিপি পার্টি সেনা সমর্থিত।
এই নির্বাচনে ৯০ টির বেশি দল থেকে ছয় হাজারের বেশি প্রার্থী অংশ নেন। তবে যদি এনএলডিপি জেতে তারপরেও দেশটির সংবিধানের একটি ধারা অনুযায়ী মিজ সু চি নিজে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না - কারণ তার দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক।
৯ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ