আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতকে সশস্ত্র ড্রোন দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছে পাকিস্তান। বাহিনীর দ্রুত আধুনিকীকরণের জন্য আমেরিকার কাছ থেকে সশস্ত্র ড্রোন কিনতে চেয়েছে ভারত।
নয়াদিল্লির এই আর্জি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে আমেরিকা জানিয়েছে। তাতেই সংশয়ে ইসলামাবাদ। আমেরিকা যদি ভারতকে সশস্ত্র ড্রোন দেয়, তা হলে দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক শক্তির ভারসাম্য সাংঘাতিক ভাবে বিঘ্নিত হবে বলে পাক বিদেশ মন্ত্রনালয়ের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারত যে ধরনের নিয়ন্ত্রিত বা সীমিত সামরিক অভিযানের হুঁশিয়ারি শোনাচ্ছে, তাতে ভারতের হাতে সশস্ত্র ড্রোন এলে যুদ্ধের আশঙ্কা অনেকটা বেড়ে যাবে, মত ইসলামাবাদের।
কয়েক দিন আগেই ট্রাম্প প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, সশস্ত্র ড্রোন কিনতে চেয়ে যে আর্জি ভারত পেশ করেছে, তা আমেরিকা বিবেচনা করছে। আজ তার প্রতিক্রিয়া দিল পাকিস্তান।
শনিবার পাকিস্তানে পররাষ্ট্র মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া বললেন, ''সশস্ত্র ড্রোনের ব্যবহার যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেবে, কারণ এতে অনেকে দুঃসাহসিক সামরিক অভিযানে উত্সাহিত হবে।''
জাকারিয়ার ইঙ্গিত যে ভারতের প্রতিই, তা বেশ স্পষ্ট। তিনি বলেছেন, 'সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা না করে সীমিত সামরিক অভিযান চালানো হবে বলে যে সব কথা বলা হচ্ছে', তার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ এশিয়ার কোনও দেশকে সশস্ত্র ড্রোন দেওয়া আমেরিকার একেবারেই উচিত হবে না।
এই 'সীমিত সামরিক অভিযান' চালানোর হুঁশিয়ারি ভারতই দিয়েছে। গত বছরই যুদ্ধ ঘোষণা না করেও, নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছে ভারতীয় বাহিনী।
প্রয়োজনে আবার এই রকম সীমিত সামরিক অভিযান হতে পারে বলে ভারত হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। পাক পররাষ্ট্র মুখপাত্র যে সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন, তা নিয়ে সংশয় নেই।
এমটিনিউজ/এসএস